বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা গত বছর সব কটি ‘ইকোনমিক লেভার’ টানার সময় নিশ্চয়ই এমন কিছু ভাবেননি। অনেক আশা নিয়ে সম্পদ বিক্রি করে নতুন খেলোয়াড়দের নিবন্ধন করিয়েছেন বার্সা সভাপতি। লা লিগা পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকলেও কাল রাতে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেওয়ায় কাতালান ক্লাবটিকে পথে ফেরানোর স্বপ্নে বড় ধাক্কা খেলেন লাপোর্তা।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাল রাতে ইউরোপা লিগের নকআউট রাউন্ড প্লে–অফে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে ২-১ গোলে হেরে শেষ ষোলোয় উঠতে ব্যর্থ হয়েছে বার্সা। মার্চ মাসের আগেই ইউরোপের মঞ্চ থেকে বিদায় নেওয়ার অভিজ্ঞতাটা অনেক বছর পর হলো দলটির। সর্বশেষ ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে বার্সা।
সেবার ডিসেম্বরের মধ্যেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল কাতালান ক্লাবটির। ১৯৯৮ সালের সেই সময় থেকে হিসাব করলে ২৫ বছর পর এমন অভিজ্ঞতা হলো বার্সার, ইউরোপের দ্বিতীয় শীর্ষ প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোতেও উঠতে পারল না!
তবে এবার না হলেও আগামী মৌসুম নিয়ে আশাবাদী বার্সার কোচ জাভি হার্নান্দেজ। সামনের মৌসুমে তাঁর দল আরও ভালোভাবে ফিরে আসবে বলে মনে করেন সাবেক এই ফুটবলার, ‘আশা করি আগামী মৌসুমে ভালো কিছু হবে। গত বছর আমরা ইউরোপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারিনি। এ বছর আমরা (চ্যাম্পিয়নস লিগে) বায়ার্ন মিউনিখ ও ইন্টার মিলান আর (ইউরোপা লিগে) ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে লড়েছি। আমাদের আরও ভালো করা দরকার। আশা করি আগামী মৌসুমে আরও ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
২০২০ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল বার্সা। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এরপরই ধীরে ধীরে পতনের মুখে পড়ে ক্লাবটি। পরের বছর শেষ ষোলো ফিরতি লেগে পিএসজির কাছে ঘরের মাঠে হারে ৪-১ গোলে। আর শেষ দুই বছর চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বই পাড়ি দিতে পারেনি এই টুর্নামেন্টে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। অথচ ২০২১ সালের আগপর্যন্ত টানা ১৪ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে অন্তত কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে বার্সা।
এই মৌসুমে অক্টোবরের পর প্রথম হারল জাভির দল। এর মধ্য দিয়ে ১৮ ম্যাচের অপরাজিত-যাত্রায় ছেদ পড়ল। ইউনাইটেডের মাঠে হারের অন্যতম কারণ হিসেবে গাভি ও পেদ্রির অনুপস্থিতিকে দেখছেন জাভি। এই দুই তরুণ না থাকায় মাঝমাঠে বার্সা ভালো খেলতে পারেনি বলে মনে করেন দলটির কোচ। নিষেধাজ্ঞার কারণে গাভি এবং চোটের কারণে পেদ্রি ম্যাচটি খেলতে পারেননি। জাভি বলেছেন, ‘ওরা গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। ওরা বল দখলে রেখে ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে আনতে পারে। ওরা খেললে আমাদের এত সমস্যা হতো না।’