বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে মেসির ঘুমের সেই ছবি কে তুলেছিলেন

বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ঘুমোচ্ছেন মেসিছবি: ফেসবুক

তিনটি ছবি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হতেই রীতিমতো ‘ভাইরাল’!
বলা হচ্ছে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে লিওনেল মেসির ঘুমিয়ে থাকা সেই ছবিগুলোর কথা। গত ১৮ ডিসেম্বর ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করে আর্জেন্টিনা। ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় বহুল কাঙ্ক্ষিত ট্রফি হাতে তোলেন মেসি।

আর্জেন্টিনা যেদিন কাতার থেকে ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরে, সেদিন মেসির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয় ছবিগুলো। যেন পরম পাওয়া ট্রফিটি মুহূর্তের জন্যও হাতছাড়া করতে চান না আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।

আরও পড়ুন

অনেকের কৌতূহল—মেসির ট্রফি নিয়ে ঘুমানোর ছবিটি কে তুলেছিলেন? যে ছবিতে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে তাঁর এমন আবেগ ফুটে উঠেছে। এবার সেটি নিয়ে কথা বলেছেন মেসি। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ওলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিএসজি তারকা জানান, সেদিন ভোরে বুয়েনস এইরেসের এজেইজা বিমানবন্দরে অবতরণের পর কাছের একটি হোটেলে বিশ্রাম নিয়েছিল পুরো দল। এটা সেই সময়কার তোলা ছবি।

সেই সময়ের বর্ণনা মেসি দিয়েছেন এভাবে, ‘আমি জানি না কেন ট্রফিটা নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সবাই আমার রুমে এসেছিল। যাওয়ার সময় ট্রফিটা আমার জন্য রেখে যায়।’ সকাল ছয়টার দিকে ঘুম থেকে জেগে টিভি চালিয়েছিলেন মেসি।

দি পল ও মেসি
ছবি: রয়টার্স

শব্দ শুনে পাশের কক্ষ থেকে রদ্রিগো দি পল ছুটে আসেন বলে জানান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, ‘ওতামেন্দি আর রদ্রিগো দি পল আমার পাশের কক্ষে ছিল। দেয়ালের ওপাশে শব্দ শোনা যায়। আমি ঘুম থেকে জেগে টিভি চালিয়ে দিলে শব্দ শুনে রদ্রিগো এল। আমার পাশে ট্রফি দেখে বলল, ‘‘আসো, তোমার ছবি তুলি।’’’

আরও পড়ুন

ট্রফি নিয়ে মেসির ‘আইকনিক’ ছবি তোলা দি পল এর আগে বিশ্বকাপের মাঠেও ছিলেন মেসির নিবিড় অনুসরণকারী। মাঠে প্রতিপক্ষ দ্বারা মেসি আক্রান্ত হলে দি পলকে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা যয়। যা দেখে অনেকে মজার ছলে তাঁকে মেসির ‘দেহরক্ষী’ও বলে থাকেন

আরও পড়ুন

ট্রফি নিয়ে ঘুমের ছবিটির সূত্রে দি পলকে নিয়ে কথা বলেন মেসি। ২৮ বছর বয়সী আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডারকে মাঠ ও মাঠের বাইরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলে আখ্যা দিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, ‘আমাদের দলের জন্য ফুটবলীয় এবং মানবিক দুই দিক থেকেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কঠিন মুহূর্তগুলোকে সে সহজ করে ফেলতে পারে, একটা ব্যাপারকে অন্য দিকে নিয়ে যেতে পারে। মানুষ ওকে শুধু হাসাহাসি, মজা করতে দেখে। কিন্তু কাজের বেলায় নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ায় রদ্রিগোই সবার আগে।’