মেসিকে ‘ইতিহাসের সেরা’ মেনে তুলনা অপছন্দ ইয়ামালের
অভিষেকের পর থেকেই দারুণ সময় পার করছেন লামিনে ইয়ামাল। বয়স এখনো মাত্র ১৭ হলেও তিনি শুধু বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ নন, বর্তমানও। পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরুর পর থেকেই তাঁকে তুলনা করা হচ্ছিল লিওনেল মেসির সঙ্গে।
মেসি নিজেও একাধিকবার প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ইয়ামালকে। এবার ইয়ামাল কথা বলেছেন মেসির সঙ্গে তাঁর তুলনা নিয়ে। পাশাপাশি নিজেকে কীভাবে চেনাতে চান, সেটিও উল্লেখ করেছেন বার্সা তারকা।
ইয়ামাল খেলেন বার্সার রাইট উইংয়ে। যেখানে একসময় খেলতেন ক্লাবটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি। দুজনের মধ্যে আরও একটি মিল আছে। দুজনই উঠে এসেছেন বার্সার খেলোয়াড় তৈরির আঁতুড় ঘর ‘লা মাসিয়া’ থেকে।
খেলার দিক থেকে নান্দনিক মিল তো আছেই। নিজেদের মধ্যে এই মিল নিয়ে ইয়ামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি তার (মেসি) সঙ্গে নিজের তুলনা করি না। কারণ, আমি কারও সঙ্গেই নিজেকে তুলনা করি না। মেসির সঙ্গে তো অনেক দূরের ব্যাপার।’
মেসি বা অন্য কারও সঙ্গে তুলনা না করলেও খেলায় উন্নতির কথা প্রতিনিয়ত ভাবেন ইয়ামাল, ‘আমরা প্রতিনিয়ত নিজেদের উন্নতির কথা ভাবি। পরের দিন আরও ভালো হওয়ার কথা ভাবি। তাই আমার মনে হয় না এই তুলনার কোনো অর্থ আছে। আমি নিজের খেলা উপভোগ করি এবং নিজের মতো থাকি।’ তুলনায় না গেলেও মেসির শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিয়েছেন ইয়ামাল, ‘আমি ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে তাকে পছন্দ করি। কিন্তু তার সঙ্গে নিজের তুলনা করি না।’
বার্সা ও স্পেনের হয়ে এরই মধ্যে একাধিক ট্রফি জিতেছেন ইয়ামাল। এখন প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলার অপেক্ষা। পাশাপাশি ইন্টার মিলানের বিপক্ষে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মাঠে নামলে নতুন মাইফলকও হবে তাঁর। এই ম্যাচটি হবে বার্সার হয়ে ইয়ামালের শততম ম্যাচ। এমন ম্যাচে নিশ্চয়ই দারুণ কিছু উপহার দিতে চাইবেন এই উইঙ্গার।
ইয়ামাল বলেছেন, ‘আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত। এটা আমার এবং আরও অনেকের জন্য প্রথম (ইউরোপিয়ান) সেমিফাইনাল। আমার মধ্যে কোনো ভয় নেই, তবে প্রেরণা আছে। আমার মনে হয় কিছুটা উদ্বেগ থাকে, যেটা সব খেলোয়াড়ের মধ্যেই থাকে। কিন্তু ভয়...আমি অনেক আগে মাতারোর (ইয়ামালের বাড়ি) পার্কে তা ফেলে এসেছি।’