৬ গোলের ম্যাচে বার্সাকে হার থেকে বাঁচালেন ইয়ামাল

লা লিগায় ৬ গোলের ম্যাচে কোনো রকমে হার এড়িয়ে মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা। নিজেদের মাঠে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলে ড্র করেছে বার্সা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হার এড়ানোর পথে বড় অবদান ১৬ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামালের। ম্যাচে বার্সার হয়ে জোড়া গোল করেছেন ইয়ামাল।

ঘরের মাঠে পয়েন্ট হারিয়ে শিরোপা দৌড়ে টিকে থাকাকে আরও কঠিন করে তুলল বার্সা। ২৪ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট ৫১। অর্থাৎ সমান ম্যাচে বার্সার চেয়ে ১০ (রিয়ালের পয়েন্ট ৬১) পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ। এমনকি দুইয়ে থাকা জিরোনাও বার্সার চেয়ে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে আছে।

এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে দাপটের সঙ্গে শুরু করে বার্সেলোনা। মাঝমাঠের দখল নিয়ে গ্রানাদাকে তাদের অর্ধে আটকে রেখে আক্রমণে যায় স্বাগতিকেরা। তবে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করে খেললেও প্রথমার্ধে একটির বেশি গোল আদায় করতে পারেনি তারা। এমনকি ২টির বেশি শট লক্ষ্যেও রাখতে পারেনি বার্সা। ম্যাচের ১৪ মিনিটে একমাত্র গোলটি আসে ইয়ামালের কাছ থেকে।

লেফট-উইং দিয়ে জোয়াও কানসেলোর বাড়ানো ক্রসে দারুণভাবে লক্ষ্যভেদ করে বার্সাকে লিড এনে দেন ইয়ামাল। ৪২ মিনিটে অবশ্য নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হন বার্সার রবার্ট লেভানডফস্কি। গোল–লাইন থেকে তাঁর শট ফেরান মার্টিন হোংলা। অন্য দিকে বলের দখলে বার্সা এগিয়ে থাকলেও প্রতি–আক্রমণে গ্রানাদাও চেষ্টা করছিল ম্যাচে ফেরার। তেমনই এক আক্রমণে ম্যাচের ৪৩ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরান রিকার্ড সানচেজ।

বিরতির পর ৫৩ মিনিটে সুবিধাজনক জায়গায় থেকেও গোল করতে পারেননি লেভা। বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। লেভা না পারলেও ঠিকই পেরেছেন গ্রানাদার ফাকুন্দো পেলিস্ট্রি। ৬০ মিনিটে মাইর্তো উজুনির দারুণ এক ক্রসে চমৎকার ফিনিশিংয়ে গ্রানাদাকে লিড এনে দেন পেলিস্ট্রি। সমতা ফেরাতে বার্সার অবশ্য তিন মিনিটের বেশি লাগেনি।

৬৩ লেভানডফস্কির দারুণ এক গোলে ম্যাচে ফেরে কাতালান ক্লাবটি। তবেই এই সমতাও বার্সা ধরে রাখতে পারেনি। ৩ মিনিট পর ফের এগিয়ে যায় গ্রানাদা। এবার সতীর্থের ক্রসে জোরাল হেডে গোল করেন ইগনাসি মিকুয়েল। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে সমতা ফেরাতে জোর চেষ্টা করে বার্সা। শেষ পর্যন্ত ৮০ মিনিটে ইয়ামালের গোলেই স্বস্তি ফেরে বার্সা শিবিরে। এ গোলেই শেষ পর্যন্ত হার এড়িয়ে মাঠ ছাড়ে জাবি হার্নান্দেজের দল।