এখন মেসিকে কেনার টাকা আছে বার্সেলোনার

বার্সেলোনার জার্সিতে লিওনেল মেসিছবি: এএফপি

লিওনেল মেসি কি তবে সত্যিই বার্সেলোনায় ফিরছেন?

বার্সেলোনার ভাইস প্রেসিডেন্ট এডুয়ার্ড রোমেউর কথায় অন্তত তেমনটাই সম্ভব মনে হচ্ছে। দুই বছর আগে মেসি যখন বার্সা ছাড়েন, তখন দুই পক্ষেরই ইচ্ছা ছিল চুক্তি নবায়নের। কিন্তু ক্লাব ও মেসি চাইলেও লা লিগার আর্থিক নীতির কারণে চুক্তিটি আর করা যায়নি।

ওই সময় বার্সেলোনার দেনার পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি ইউরোর বেশি। বিপুল দেনার পাশাপাশি আয়ের তুলনায় ব্যয়ও ছিল অত্যধিক। আর্থিক কারণে তাই বার্সা-মেসি চুক্তি নবায়নের সুযোগ ছিল না।

বার্সেলোনার ঋণ এখনো আছে। তবে চলতি বছর আয় বেড়েছে ক্লাবটির। না, হুট করেই বিপুল অঙ্কের অর্থ কেউ তাদের দিয়ে দেয়নি, এ জন্য সম্পদ বিক্রি করতে হয়েছে বার্সেলোনাকে।

লা লিগার টেলিভিশন–স্বত্বের ২৫ শতাংশ আর নিজস্ব প্রোডাকশন কোম্পানি বার্সা স্টুডিওর ২৫ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে দিয়েছে তারা। বিনিময়ে পাওয়া গেছে ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি।

সম্পদ বিক্রির ওই অর্থ দিয়ে এ বছর রবার্ট লেভানডফস্কি, রাফিনিয়া ও জুলেস কুন্দের জন্য ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ করতে পেরেছে বার্সেলোনা। এ ছাড়া আরও পাঁচজনকে দলে ভিড়িয়েছে বিনা মূল্যে।

সবচেয়ে বড় কথা, ক্লাবের আয়-ব্যয় এখন সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থায় এসেছে। ক্লাব কর্মকর্তারাও কিছুটা চাপমুক্ত বোধ করতে পারছেন।

আরও পড়ুন

এমন অবস্থায় কথা উঠেছে, তাহলে কি আগামী মৌসুমে মেসিকে বার্সেলোনায় ফেরানো সম্ভব? রেডিও কাতালুনিয়ার এমন একটি প্রশ্নের জবাবে বার্সেলোনার ভাইস প্রেসিডেন্ট রোমেউ দিয়েছেন ইতিবাচক উত্তর, ‘অর্থনৈতিক দিক থেকে এটি সম্ভব। কারণ, সে তখন ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবে।’ পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তি শেষ হবে ২০২৩ সালের জুনে।

প্যারিসের সংবাদমাধ্যমের খবর, মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের ইচ্ছাও আছে ফরাসি ক্লাবটির।

আরও পড়ুন

বার্সার ভাইস প্রেসিডেন্ট অবশ্য মেসির ফেরার বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারছেন না, বলছেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অন্যদের, ‘আমি অর্থনৈতিক দিক নিয়ে বলতে পারি, মেসিকে ফেরানো সম্ভব। তবে মূল সিদ্ধান্তটি আমার নয়। সিদ্ধান্ত নেবে কোচিং স্টাফের সদস্য ও খেলোয়াড়েরা।’

এর আগে বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তা ইএসপিএনকে বলেছিলেন, বার্সায় মেসির অধ্যায় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। ফেরার দরজা খোলা আছে।

এ মুহূর্তে বার্সেলোনায় কোচের দায়িত্বে আছেন জাভি, যিনি দীর্ঘদিন মেসির সতীর্থ ছিলেন। জুলাইয়ে মেসির বার্সায় ফেরাবিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে জাভি বলেছিলেন, ‘ভবিষ্যতে কী হয় দেখা যাক।’

এদিকে সম্পদ বিক্রির যে অর্থ দিয়ে মেসিকে কেনার অবস্থায় ফিরেছে বার্সেলোনা, সে অর্থ খরচের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পিএসজি প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফি।

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনার খেলোয়াড় কেনার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নাসের, ‘এটা কি ওরা ঠিক করেছে? না, ঠিক করেনি। এটা কি বৈধ ছিল? আমি নিশ্চিত নই।’