চ্যাম্পিয়নস লিগে দ্রুততম ১০০ জয় ডাকছে গার্দিওলাকে

ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাছবি:এএফপি

১৮৪ ম্যাচে ১০০তম জয়। ১৮০ ম্যাচে ১০০তম জয়। ১৫৮ ম্যাচে ৯৯তম জয়।

ওপরের তিনটি পরিসংখ্যান তিন কোচের। প্রথম পরিসংখ্যানটি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি কোচের চ্যাম্পিয়নস লিগে শততম জয় তুলে নিতে ১৮৪ ম্যাচে ডাগ আউটে দাঁড়াতে হয়েছে। পরেরটি কার্লো আনচেলত্তির। চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৮০তম ম্যাচে এসে শততম জয় পেয়েছিলেন ইতালিয়ান কোচ। আর শেষ পরিসংখ্যানটি পেপ গার্দিওলার।

চ্যাম্পিয়নস লিগে কাল রাতে কোয়ার্টার ফাইনাল ফিরতি লেগে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে ১–১ গোলে ড্র করে পেপ গার্দিওলার দল ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথম লেগ ৩–০ গোলে জেতায় দুই লেগ মিলিয়ে সিটি সেমিফাইনালে উঠলেও ফিরতি লেগ নিয়ে একটি আক্ষেপ থাকতে পারে গার্দিওলার। ম্যাচটা জিতলেই চ্যাম্পিয়নস লিগে শততম জয়ের দেখা পেতেন। আর তখন দুটি রেকর্ডও হতো। অবশ্য রেকর্ড দুটো গার্দিওলার হাতের মুঠোয়ই আছে। কে জানে, হয়তো পরের ম্যাচেই হয়ে যেতে পারে। যদিও সেমিফাইনালে সিটির প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ। তবু নামটা গার্দিওলা বলেই ভক্তরা তাঁর ওপর নিশ্চয়ই ভরসা রাখবেন।

আগেই বলা হয়েছে, ইউরোপসেরার টুর্নামেন্টে এর আগে শততম জয়ের দেখা পেয়েছেন শুধু ওই দুজন কোচ—ফার্গুসন ও আনচেলত্তি। তবে গার্দিওলা শততম জয় পেলে দুটি জায়গায় এগিয়ে থাকবেন। প্রথমটি ম্যাচের হিসেবে দ্রুততম, পরেরটি বয়সের হিসেবে সর্বকনিষ্ঠতম।

৮১ বছর বয়সী ফার্গুসন চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের শততম জয় পেয়েছিলেন ২০১২ সালে গ্যালাতসারের বিপক্ষে যখন তাঁর বয়স ৭০ বছর। আর ৬৩ বছর বয়সী আনচেলত্তি শততম জয়ের দেখা পেয়েছেন গত বছর সেল্টিকের মাঠে। আর এই তিন কোচের ম্যাচের হিসেব বলছে, চ্যাম্পিয়নস লিগে দ্রুততম ১০০ জয় তুলে নেওয়া গার্দিওলার জন্য শুধুই সময়ের ব্যাপার।

ট্রান্সফারমার্কেট এর হিসাব অনুযায়ী, চ্যাম্পিয়নস লিগে কোচ হিসেবে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড আনচেলত্তির। ১৮৯ ম্যাচে ১০৮ জয় পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ। হার ৪১টি আর ড্র করেছেন ৪০ ম্যাচে। এই পথে ৩৫০টি গোল করার বিপরীতে ১৭৬ গোল হজম করেছে তাঁর দলগুলো। ফার্গুসন ১৯৪ ম্যাচে পেয়েছেন ১০৫ জয়। ড্র করেছেন ৫০ ম্যাচে আর হার ৩৯টি। ৩৩৯ গোলের বিপরীতে ১৮৮ গোল হজম করেছে তাঁর দল। আর গার্দিওলা ১৫৮ ম্যাচে পেলেন ৯৯তম জয়। এই পথে ৩৩ ড্রয়ের পাশাপাশি হেরেছেন ২৬ ম্যাচ। ৩৭৩ গোল করার বিপরীতে ১৫৩ গোল হজম করেছে তাঁর দলগুলো।