দেখে নিন ইন্টার মায়ামিতে মেসির ১০ গোল

ইন্টার মায়ামির হয়ে প্রথম মাসেই ট্রফির দেখা পেয়েছেন লিওনেল মেসিছবি: এএফপি

ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম মাসে ৭টি ম্যাচ খেলেছেন লিওনেল মেসি। সব কটিই লিগস কাপে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ৪৫টি ক্লাবকে নিয়ে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ন্যাশভিলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইন্টার মায়ামি, যা ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথম ট্রফি, মেসির ক্যারিয়ারে ৪৪তম।

মায়ামিকে প্রথম ট্রফি এনে দেওয়ার পথে ৭ ম্যাচের প্রতিটিতে কমপক্ষে একটি করে গোল করেছেন মেসি। সব মিলিয়ে গোলসংখ্যা ১০। মায়ামিতে মেসির এই ১০ গোলের কোনোটিতে মিশে নান্দনিকতার গল্প, কোনোটিতে বিস্ময়ের গল্প আর কোনোটিতে দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনার গল্প।

সেসব গোলই দেখে নিন আরেকবার।

ইন্টার মায়ামিতে মেসির অভিষেক হয় গত ২১ জুলাই লিগস কাপের গ্রুপ পর্বে ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে। মেক্সিকান ক্লাবটির বিপক্ষে মেসির ম্যাচটি স্রেফ অভিষেকের জন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারত। কিন্তু এটুকুতে তিনি সন্তুষ্ট থাকবেন কেন? ১–১ সমতায় শেষ হতে চলা ম্যাচের ৯৪তম মিনিটে ফ্রি–কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল করেন মেসি। যে গোলে শেষমুহূর্তে মায়ামির জয়ই নিশ্চিত হয়নি, নতুন দেশে নতুন পরিবেশে আরেকটি জয়যাত্রারও ইঙ্গিত দেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

অভিষেকের চার দিন পর মেসি দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামেন আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে। পোর্ট লডারডেলের ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই ইন্টার মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসি।

ছন্দ পেয়ে যাওয়া মেসি ব্যক্তিগত তৃতীয় গোলটি পেতে সময় নেননি। আটলান্টার বিপক্ষে ২২ মিনিটে দলকে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটিও এনে দেন। শেষপর্যন্ত ইন্টার মায়ামি ম্যাচটি জেতে ৪–০ ব্যবধানে।

আগের ম্যাচে প্রথম গোল করেছিলেন অষ্টম মিনিটে। এবার অরলান্ডো সিটির বিপক্ষে মেসির গোল ঘড়ির কাঁটা সাড়ে ছয় মিনিট পূর্ণ হওয়ার আগেই।

আরও পড়ুন

ম্যাচের শুরুতে গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেও পরে অরল্যান্ডো সিটি সেটা শোধ করে দেয়। দ্বিতীয়ার্ধে জোসেফ মার্তিনেজের গোলে আবার এগিয়ে যায় মায়ামি। তবে ২–১ ব্যবধানে এগিয়েও স্বস্তি ছিল না, যেকোনো মুহূর্তে শোধ হতে পারে আবারও। নকআউট পর্বের ম্যাচ বলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আরেকটি গোলের খোঁজে ছিল মায়ামি। ৭২ মিনিটে সাইডভলিতে দলকে সেটিই এনে দেন মেসি। ৩–১ ব্যবধানে জিতে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নেয় মায়ামি।

প্রথম তিন ম্যাচ ইন্টার মায়ামির হোম ভেন্যুতে খেলার পর মেসির প্রথম অ্যাওয়ে ছিল টেক্সাসের টয়োটা স্টেডিয়ামে। ডালাস এফসির বিপক্ষে ম্যাচটিতে ষষ্ঠ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন মেসি, যা মায়ামিতে তাঁর দ্রুততম গোল।

ম্যাচের ৮৪ মিনিট পর্যন্ত ডালাসের কাছে ৪–৩ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল মায়ামি। ৮৫ মিনিটে মেসির দুর্দান্ত এই ফ্রি–কিকে সমতায় ফেরে দল। যা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখার পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে, সেখানে ৫–৩ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যায় মায়ামি।

শার্লট এফসির বিপক্ষে মেসির গোলের আগেই ৩–০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মায়ামি। যে ম্যাচে সতীর্থরা গোল পাচ্ছেন, মেসি না পেলে কেমন হয়? মেসিও গোল করলেন ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে, ৮৬ মিনিটে।

ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের বিপক্ষে মেসির এই গোল ছিল ৩১.৮ মিটার দূর থেকে। ইএসপিএনের তথ্যমতে, মেসি ক্যারিয়ারে এর চেয়ে বেশি দূরত্ব থেকে গোল মাত্র একটিই আছে।

১০

প্রতিপক্ষ যেমনই হোক, শিরোপানির্ধারণী ম্যাচ বলে কথা! আর এমন এক ম্যাচে ইন্টার মায়ামিকে পথ দেখান মেসিই। গোল করেন ২৩ মিনিটে।

আরও পড়ুন