সাবিনার নাসরিন একাডেমিই চ্যাম্পিয়ন

নারী ফুটবল লিগে শিরোপা নিয়ে উদ্‌যাপন নাসরিন স্পোর্টস একাডেমিরআশরাফুল আলম

শেষ ম্যাচে ঢাকা রেঞ্জার্স এএফসির বিপক্ষে ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন। এমন সমীকরণ নিয়ে আজ কমলাপুর স্টেডিয়ামে নেমেছিল নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি। যেখানে দরকার ছিল মাত্র ১ পয়েন্ট, নাসরিন সেখানে তুলে নিয়েছে ৩ পয়েন্ট।

শুধু ৩ পয়েন্ট বললে পুরোটা বলা হয় না। শিরোপা নিশ্চিতের ম্যাচে কোনো দল ১৩-০ গোলে জিততে পারে, সেটা অবিশ্বাস্যই। কিন্তু বাস্তবে এটাই হয়েছে। ঢাকা রেঞ্জার্সকে ১৩ গোলে ভাসিয়ে প্রথমবারের মতো নারী ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নাসরিন একাডেমি। আজই মাঠে ট্রফি দিয়ে দেওয়া হয়েছে চ্যাম্পিয়নদের। সঙ্গে ফেয়ার–প্লে ট্রফিও। ট্রফি নিয়ে নাসরিনের খেলোয়াড়েরা উৎসব করেই কাটিয়েছেন।

আরও পড়ুন

বসুন্ধরা কিংস এবার দল না গড়ায় শেষ মুহূর্তে কোনোমতে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য একটা দল বেছে নেওয়া হয়। গতবারের চেয়ে অনেক কম পারিশ্রমিক হলেও খেলার সুযোগ পেয়েই খুশি জাতীয় দলের মেয়েরা। তাঁদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে নাসরিন একাডেমি, যারা আগের লিগগুলোয় বলার মতো কিছু করতে পারেনি। কিন্তু এবার তারাই সেরা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে।

প্রতিপক্ষের জালে গোলউৎসব করেছেন সাবিনারা
আশরাফুল আলম

৯ দলের লিগে নাসরিন হারেনি কোনো ম্যাচ। ড্র করেছে আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ ক্লাবের বিপক্ষে। ৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২২। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ ক্লাব, যারা আগের দুবারও দ্বিতীয় হয়েছিল। আতাউরের চেয়ে মাত্র এক পয়েন্ট কম নিয়ে (১৮) তৃতীয় হয়েছে নবাগত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

গোলাম রব্বানীর অধীনে নতুন দল হিসেবে বেশ ভালো করেছে সেনাবাহিনী। দলটির মোছাম্মদ সুলতানা পেয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

আরও পড়ুন

নাসরিন, আতাউর, সেনাবাহিনী—তিনটি দলই কাছাকাছাছি থাকায় এবার লিগটা অন্যবারের চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। এই তিনটি দলের বাইরে চতুর্থ হয়েছে সিরাজ স্মৃতি সংসদ। তাদের পয়েন্ট ১১। প্রথম ৭ ম্যাচ পর্যন্ত কোনো পয়েন্ট পায়নি জামালপুল কাচারিপাড়া একাদশ। আজ তাদের শেষ ম্যাচ সদ্য পুষ্করিণীর সঙ্গে। এই ম্যাচ দিয়েই শেষ হচ্ছে সিঙ্গল লিগ পদ্ধতির লিগ।

ব্যক্তিগত পুরস্কার বুঝে নিচ্ছেন সাবিনা
আশরাফুল আলম

ব্যক্তিগত ঝুলিতে ১২ গোল নিয়ে ঢাকা রেঞ্জার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন সাবিনা। ১৫ গোল সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এগিয়ে ছিলেন আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ ক্লাবের সাগরিকা। তাঁকে টপকাতে সাবিনার দরকার ছিল অন্তত ৪ গোল। তবে এদিন তিনি ৫ গোল করেছেন, যা নিয়ে সন্তুষ্টি ঝরেছে সাবিনা খাতুনের কণ্ঠে।

দুই লিগ পর এবার সর্বোচ্চ গোলদাতা সাবিনা বললেন নিজে যেমন খুশি, খুশি লিগের কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ায়, ‘লিগটা খেলে ভালো লেগেছে। কারণ, লড়াই হয়েছে।’ এবার যেমন হয়েছে আগামী দিনে যেন আরও ভালো হয়, সেই আশা করব।’ সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার ব্যাপারটা মাথায় ছিল তবে আমার চেয়েও বেশি ছিল টিমমেটদের মাথায়।’

আরও পড়ুন