- শেষ সেকেন্ডেও সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ
- রাকিবের গোল
- বাংলাদেশ ০: ২ সিঙ্গাপুর
- হামজার চেষ্টা বিফলে
- বাংলাদেশের আক্রমণের উৎস শমিত
- ৩০ মিনিট শেষে গোলশূন্য
- আহত তারিক কাজী
- ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড
- আক্রমণে এগিয়ে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশের একাদশে যাঁরা আছেন
- জ্বলছে ফ্লেয়ার, বাজছে ব্যান্ড, উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা
শেষ সেকেন্ডেও সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ
হামজা চৌধুরী, রাকিব হোসেন, শমিত সোমরা ভালো খেলেছেন। সিঙ্গাপুরের চেয়ে সুযোগও বেশি তৈরি করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু দারুণ উত্তেজনা ছড়ানো আর রোমাঞ্চ উপহার দেওয়া ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত ১–২ গোলে হেরেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল।
ম্যাচের দুই অর্ধে দুটি গোল খেয়ে ২–০ তে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ ব্যবধান কমিয়েছিল হামজার রক্ষণচেরা পাস থেকে রাকিবের গোলে। এরপর বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও আর গোল পায়নি। এমনকি শেষ সেকেন্ডেও দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। শাহরিয়ার ইমনের অসাধারণ হেডটি কোনোমতে মাঠের বাইরে পাঠান সিঙ্গাপুরের গোলকিপার। তখনই শেষ বাঁশি বাজান রেফারি। হেরে যায় বাংলাদেশ।
রাকিবের গোল
অনেক সুযোগ নষ্টের পর অবশেষে গোল পেলেন রাকিব হোসেন। ৬৭ মিনিটে হামজা চৌধুরীর বানিয়ে দেওয়া বল থেকে সিঙ্গাপুরের গোলকিপারকে বোকা বানালেন রাকিব।
বাংলাদেশ ১–২ সিঙ্গাপুর। লাল–সবুজের প্রতিনিধিরা এখন ম্যাচে সমতা আনার চেষ্টায়।
বাংলাদেশ ০: ২ সিঙ্গাপুর
৫৯ মিনিটে বাংলাদেশকে ০–২ গোলে পিছিয়ে দিতে সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় গোলটি করেছেন ইকসান ফান্দি। বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া সিঙ্গাপুরের এক ফরোয়ার্ডের শট বাংলাদেশের গোলকিপার মিতুল ঠেকালেও ভালোভাবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বক্সের মধ্যেই বল পেয়ে যান ফান্দি। দূরের পোস্টে তাঁর নেওয়া শট তাকিয়ে তাকিয়ে জালে যেতে দেখেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তপু বর্মণ। মিতুল তখন ছিলেন প্রথম পোস্টে। তপুর সে সময় দ্বিতীয় পোস্টে থাকার কথা। কিন্তু তিনি ছিলেন ভুল জায়গায়!
হামজার চেষ্টা বিফলে
ম্যাচের তখন ৪৪ মিনিট। বাংলাদেশের রক্ষণে ঢুকে পড়ে সিঙ্গাপুর। গোলকিপার মিতুল বল ফিস্ট করতে গিয়ে পারেননি। বক্সের মধ্য থেকে হেড দিয়ে সিঙ্গাপুরের একজন বল দেন ডান দিকে। সেখান থেকে তিনি বল দেন বাঁ পাশে। শট নেন সিঙ্গাপুরের সং উই ইয়াং। হামজা চৌধুরী অনেক দূর থেকে দৌড়ে এসে গোল বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি।
বাংলাদেশের আক্রমণের উৎস শমিত
কমপক্ষে পাঁচটি আক্রমণের উৎস ছিলেন শমিত সোম। কিন্তু তাঁর দারুণভাবে বাড়ানো পাসগুলো কাজে লাগাতে পারেননি রাকিব–ফাহামিদুলরা।
৩০ মিনিট শেষে গোলশূন্য
গোল পেতে পারত বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর দুই দলই। কিন্তু বক্সের মধ্য থেকে সিঙ্গাপুরের অধিনায়কের বাঁ প্রান্ত থেকে নেওয়া শট ফিরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের গোলকিপার মিতুল আর শমিত শোমের বাড়ানো দারুণ বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি বলে গোল পাননি রাকিব।
আহত তারিক কাজী
প্রথমে ঠোঁটে আঘাত পেয়ে রক্ত ঝরতে লাগল তারিক কাজীর। এরপর আবারও আঘাত পেলেন তারিক।
ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড
সিঙ্গাপুরের এক খেলোয়াড়ের জার্সি টেনে ধরে হলুদ কার্ড দেখলেন ফাহামিদুল ইসলাম। ম্যাচে প্রথমবারের মতো রেফারিকে কার্ড বের করতে হলো।
আক্রমণে এগিয়ে বাংলাদেশ
ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটে আক্রমণে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ফাহামিদুল ইসলাম ও শাকিল আহাদ একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু রাকিব হোসেন কাজে লাগাতে পারেননি।
পাল্টা আক্রমণে সিঙ্গাপুরও দুটি সুযোগ করেছিল। তারাও সুযোগ হাতছাড়া করেছে।
বাংলাদেশের একাদশে যাঁরা আছেন
মিতুল মারমা, তপু বর্মণ (অধিনায়ক), তারিক কাজী, সাদ উদ্দিন, শাকিল আহাদ, হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, মোহাম্মদ হৃদয়, ফাহামিদুল ইসলাম, কাজেম শাহ, রাকিব হোসেন।
জ্বলছে ফ্লেয়ার, বাজছে ব্যান্ড, উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা
ম্যাচ শুরুর চার–পাঁচ ঘণ্টা আগেই বাংলাদেশ সমর্থকদের ঢল নামে জাতীয় স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে এখন শুধুই ‘বাংলাদেশ–বাংলাদেশ’ স্লোগান। স্টেডিয়ামের বাইরে ব্যান্ড বাজিয়ে উৎসবে মেতেছেন সমর্থকেরা। জ্বলছে ফ্লেয়ার, উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা।
ম্যাচ শুরু হতে এখনো প্রায় আধ ঘণ্টা বাকি। হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহামিদুলসহ বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা মাঠে নেমে পড়েছেন। হালকা স্ট্রেচিং ও গা গরম করছেন তাঁরা।