বিশ্বকাপে খেলোয়াড় পাঠিয়ে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাবে ক্লাবগুলো

বিশ্বকাপের কারণে টাকা পাবে মেসি–এমবাপ্পেদের ক্লাবওএএফপি

বিশ্বকাপে খেলোয়াড় পাঠালে আগেও টাকা পেত ক্লাবগুলো। তবে এই টাকার পরিমাণ পরের দুই বিশ্বকাপে আরও বাড়বে। ২০২৬ ও ২০৩০ বিশ্বকাপে যেসব ক্লাবের খেলোয়াড় থাকবে, সেই ক্লাবগুলো মিলে পাবে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আগের দুই বিশ্বকাপ থেকে এই অঙ্কটা প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি।

আন্তর্জাতিক ফুটবলাররা মূলত ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। বিশ্বকাপের সময় সেই ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের ছেড়ে দেয় নিজ নিজ দেশের হয়ে খেলতে। এ রকম বড় ও দীর্ঘ টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়ে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি থাকে, অনেকে চোটে পড়েনও। আর খেলোয়াড়েরা চোটে পড়লে ক্লাবেরই ক্ষতি। এ সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ফিফা চালু করেছিল ‘ক্লাব বেনিফিট প্রোগ্রাম’ নামে একটা বিমা প্রকল্প।

আরও পড়ুন

যে প্রকল্প থেকে বিশ্বকাপের জন্য খেলোয়াড় পাঠালে ক্লাবগুলোকে ভর্তুকি দেওয়া হয়। ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপে খেলোয়াড় পাঠিয়ে মোট ২০ কোটি ৯ লাখ ডলার পেয়েছে ক্লাবগুলো। সব ক্লাবই অবশ্য সমান অর্থ পায় না। যে ক্লাব বেশি খেলোয়াড় পাঠায়, যাদের খেলোয়াড় বেশি দিন পর্যন্ত বিশ্বকাপে থাকেন, স্বাভাবিকভাবেই সেই ক্লাবগুলোর আয় বেশি।

বিশ্বকাপ থেকে ভালোই আয় হবে ম্যানচেস্টার সিটির
ছবি: রয়টার্স

এত দিন বিশ্বকাপে অংশ নিত ৩২ দল। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে দলের সংখ্যা বেড়ে হচ্ছে ৪৮। স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড় সংখ্যাও বাড়ছে বিশ্বকাপে। টাকার অঙ্কটা বাড়ার সেটাই বড় কারণ হতে পারে।

এ বিষয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের (ইসিএ) সঙ্গে ফিফার চুক্তিটি নবায়ন করা হয়েছে সম্প্রতি হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে, ইসিএর বার্ষিক সাধারণ সভায়। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ২০২৬ ও ২০৩০ বিশ্বকাপে যেসব ক্লাবের খেলোয়াড় থাকবে, সেই ক্লাবগুলো ফিফার কাছ থেকে মোট পাবে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

আরও পড়ুন

চুক্তি নবায়নের পর ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ফুটবলের ভবিষ্যৎ ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমরা ইসিএর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে পেরে এবং আমাদের সহযোগিতার বন্ধন দৃঢ় করতে পেরে আনন্দিত।

আরও পড়ুন

ইসিএ চেয়ারম্যান নাসের আল-খেলাইফি বলেছেন, ‘এই চুক্তি বিশ্বব্যাপী ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ক্লাবগুলোর অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্লাবগুলোর যাতে যথাযথ ভূমিকা বজায় থাকে, সেটি নিশ্চিত হবে।’