২৯ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন রাফায়েল ভারান। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা এই ডিফেন্ডার ফ্রান্সের ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য। খেলেছেন গত ডিসেম্বরে শেষ হওয়া কাতার বিশ্বকাপেও।

ফাইনালের পর ফ্রান্সের অধিনায়ক উগো লরিস অবসরের ঘোষণা দেন। দেড় মাস পর আজ আচমকাই ইনস্টাগ্রামে আন্তর্জাতিক ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান তিনি।

ফ্রান্স জাতীয় দলে ভারানের অভিষেক ২০১৩ সালে। ৯ বছরের ক্যারিয়ারে মোট ৯৩টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ২০১৮ বিশ্বকাপের পর ২০২১ সালে জিতেছেন উয়েফা নেশনস লিগ।

আরও পড়ুন

এখনই অবসর নয়, খেলা চালিয়ে যাবেন মেসি

বয়স এখনো ত্রিশের ঘরে যায়নি বলে ২০২৬ বিশ্বকাপ দলে জায়গা করার পথ খোলা ছিল ভারানের। খেলতে পারতেন আগামী বছরের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপেও। তবে সব সম্ভাবনার পথ নিজেই বন্ধ করে দেন ইনস্টাগ্রামের ঘোষণায়, ‘আমাদের মহান দেশটিকে এক দশক ধরে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা আমার জীবনের সেরা সম্মান। যতবারই নীল জার্সিটি পরেছি, আমি অসীম গর্ববোধ করেছি। বিষয়টি নিয়ে আমি কয়েক মাস ধরে ভেবেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দেওয়ার এটিই সঠিক সময়।’

১৯৯৮ সালে জিনেদিন জিদানদের বিশ্বকাপ জয়ে অনুপ্রাণিত হওয়ার কথা স্মরণ করে ভারান লিখেছেন, ‘একজন শিশু হিসেবে আমার মনে পড়ে, ’৯৮–এর ফ্রান্স দল আর দলটির খেলোয়াড়েরা আমাদের বর্ণনাতীত অনুভূতির অভিজ্ঞতা দিয়েছিল। সেই নায়কদের মতো হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম আমি। এর ২০ বছর পর আমি আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতাটি পেলাম, যেটা আমাকে সত্যিই গর্বিত করেছে। আমরা বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরলাম। ওই সময়টা আমি কখনোই ভুলতে পারব না। ১৫ জুলাই ২০১৮—এই দিনটির প্রতিটি ক্ষুদ্র আবেগ এখনো আমি অনুভব করি, সেটা আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত।’

আরও পড়ুন

অবসর ভেঙে এক ম্যাচের জন্য ফিরছেন আগুয়েরো

গত বছর ফ্রান্সের হয়ে আরেকটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন ভারান। ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় ফ্রান্স।

তবে রানার্সআপ দলটিকে নায়কের বেশে বরণ করে নেওয়ায় ফরাসিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারান, ‘সর্বশেষ ফাইনালে হেরে গিয়ে দেশে ফেরার পর আমাদের নায়কের মতো বরণ করা হয়েছে। আপনাদের প্রত্যেককে আমি হাজারো ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের সঙ্গে থাকা মুহূর্তগুলো আমি মিস করব। তবে নতুন প্রজন্মের হাতে দল তুলে দেওয়ার এটিই সময়।’