মেসি-এমবাপ্পেদের ফাইনাল দেখেছেন ১৫০ কোটি মানুষ

বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে লিওনেল মেসিফাইল ছবি

এ যেন রেকর্ডের বিশ্বকাপ!

দর্শকসংখ্যায় রেকর্ড গড়েছে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের মধ্যকার বিশ্বকাপ ফাইনাল। আগের যেকোনো বিশ্বকাপ ফাইনালের চেয়ে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখেছেন বেশি মানুষ। লুসাইলে হওয়া মেসি-এমবাপ্পেদের ফাইনাল দেখেছেন ১৫০ কোটি মানুষ।

গত ১৮ ডিসেম্বর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার এক মাস পর ফিফা এ তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখেছিলেন ১১২ কোটি মানুষ।

কাতার বিশ্বকাপ দেখেছেন কিংবা কোনোভাবে বিশ্বকাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন—এমন মানুষের সংখ্যা ৫০০ কোটি। রাশিয়া বিশ্বকাপে এই সংখ্যা ছিল ৩০০ কোটি ৫৭২ লাখ।

লুসাইলে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল গ্যালারিতে বসে দেখেছেন ৮৮ হাজার ৯৬৬ জন দর্শক। পুরো বিশ্বকাপে মাঠে বসে খেলা দেখা দর্শকদের সংখ্যা ৩৪ লাখ। কাতার বিশ্বকাপ এখানেও ছাড়িয়ে গেছে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপকে। রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্যালারিতে বসে ৩০ লাখ দর্শক খেলা দেখেছেন।

আরও পড়ুন

বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল দেখেছে কাতার বিশ্বকাপ। কাতার বিশ্বকাপে গোল হয়েছে ১৭২টি। এর আগে সর্বোচ্চ গোল হয়েছিল ১৯৯৮ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে। দুই বিশ্বকাপেই গোল হয়েছে ১৭১টি করে।

কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে বল দখলের লড়াইয়ে রোমেরো ও এমবাপ্পে
ছবি : ফিফা

তথ্য ও বিশ্লেষণবিষয়ক মার্কিন প্রতিষ্ঠান নিয়েলসন জানিয়েছে, বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় পোস্ট করা হয়েছে ৯ কোটি ৩৬ লাখ। এসব পোস্টে প্রতিক্রিয়া এসেছে ৫৯৫ কোটি।

বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম গোল এসেছে আলফানসো ডেভিসের কাছ থেকে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৬৮ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন তিনি। স্পেনের তরুণ তুর্কি গাভি কাতার বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা। তিনি অবশ্য পেলের পর বিশ্বকাপেরই সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা। কোস্টারিকার বিপক্ষে গোল পেয়েছিলেন এই স্প্যানিশ ফুটবলার।

আরও পড়ুন

কাতার বিশ্বকাপটা লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানোর রোনালদো দুজনের দুরকমভাবে কেটেছে। মেসি ফিরেছেন বিশ্বকাপ ট্রফি সঙ্গে নিয়ে, তবে রোনালদোকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। এরপরও রোনালদো কিন্তু এই বিশ্বকাপে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন। প্রথম ফুটবলার হিসেবে গোল করেছেন পাঁচটি বিশ্বকাপে। অন্যদিকে বিশ্বকাপে শেষ ষোলো পর্ব যোগ হওয়ার পর থেকে মেসিই প্রথম, যিনি টানা চারটি নকআউটে ম্যাচে গোল পেয়েছেন।

কাতার বিশ্বকাপেই প্রথম একসঙ্গে তিনজন নারী রেফারি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। শেষ ষোলোতে এশিয়ার প্রতিনিধি ছিল তিনটি দেশ। এটাও বিশ্বকাপের ইতিহাসে ঘটেছে প্রথমবার। প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল মরক্কো।

কাতার বিশ্বকাপ সফলভাবে পরিচালনা করতে কাজ করেছেন ১৫০টি দেশের ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। ১৮ থেকে ৭৭—সব বয়সী মানুষই ছিলেন এই স্বেচ্ছাসেবক দলে।

আরও পড়ুন