যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে খেলার ওপরই আছেন লিওনেল মেসি। এখন পর্যন্ত ইন্টার মায়ামির হয়ে ১০ ম্যাচ খেলেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এই ম্যাচগুলোতে মেসি সব মিলিয়ে করেছেন ১১ গোল।

শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরে ভ্রমণেও অবিশ্বাস্য এক পরিসংখ্যান যুক্ত হয়েছে মেসির নামের পাশে। যেখানে ৩২ দিনে মেসি ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন ২৮ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ।

ইন্টার মায়ামির হয়ে মেসির অভিষেক হয়েছে গত ২১ জুলাই। সেদিন ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। দলকে জয়সূচক গোল এনে দেওয়া মেসি সেই ম্যাচটি খেলেছিলেন ইন্টার মায়ামির মাঠ ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে।

আরও পড়ুন

মেসির হাত ধরেই আসছে আরেক মেসি

একইভাবে ২৫ জুলাই আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচ এবং ২ আগস্ট অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে ম্যাচটিও মেসি খেলেছিলেন ঘরের মাঠে। মেসির ভ্রমণ শুরু হয় মূলত ৬ আগস্ট এফসি ডালাসের বিপক্ষের ম্যাচে। সেই ম্যাচ খেলতে মায়ামি থেকে টেক্সাস যাওয়ার পথে মেসিকে ভ্রমণ করতে হয়েছে ১ হাজার ৭৭৩ কিলোমিটার। ফেরার পথেও আবার পাড়ি দিতে হয়েছে এতটা পথ।

আজ ন্যাশভিলের বিপক্ষে মেসি গোল করতে পারেননি
ছবি: এএফপি

এরপর মেসি শার্লটের বিপক্ষে পরের ম্যাচটি খেলেছেন ঘরের মাঠেই। তবে ফিলাডেলফিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলতে মেসিকে ভ্রমণ করতে হয়েছিল সব মিলিয়ে ৩ হাজার ২২০ কিলোমিটার। আর ফাইনাল খেলার জন্য মেসিকে যেতে হয়েছিল ন্যাশভিলের মাঠে। আর এই ম্যাচ খেলতে সব মিলিয়ে মেসি ভ্রমণ করেছেন ২ হাজার ৫৭২ কিলোমিটার। সেই ম্যাচ দিয়ে ইন্টার মায়ামিকে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদও দিয়েছেন মেসি।

আরও পড়ুন

‘মেসি-ম্যানিয়া’য় দেড় মাসেই যত আয় করল এমএলএস ও অ্যাপল

লিগস কাপের সেই শিরোপা জয়ের পর মেসি মাঠে নামেন ইউএস ওপেন কাপের সেমিফাইনালে। সিনসিনাটির বিপক্ষে সেই ম্যাচ খেলতে মেসিকে যেতে হয়েছিল ওহিওতে। সেই ম্যাচের পর মেসির ভ্রমণের তালিকায় যুক্ত হয় আরও ১ হাজার ৫০৪ কিলোমিটার। সেখান থেকেই মেসিরা সরাসরি চলে যান নিউইয়র্কে। যেখানে নিউইয়র্ক বুলসের বিপক্ষে খেলতে মেসিকে ভ্রমণ করতে হয়েছিল ৯১৭ কিলোমিটার। ফিরতি ভ্রমণে নিউইয়র্ক থেকে ফ্লোরিডা ফিরে আসতে মেসিকে আবার ভ্রমণ করতে হয় ১ হাজার ৭২৯ কিলোমিটার।

মায়ামির অনুশীলনে হাস্যোজ্জ্বল মেসি
ছবি: এএফপি

আন্তর্জাতিক বিরতির আগে মেসি তাঁর শেষ ম্যাচটি খেলবেন লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির মাঠে। এই ম্যাচ খেলতে মেসিকে ভ্রমণ করতে হবে দীর্ঘ এক পথ। যুক্তরাষ্ট্রের এক উপকূল থেকে অন্য উপকূল আসা–যাওয়ার পথে মেসি ভ্রমণ করবেন ৭ হাজার ৪৯৬ কিলোমিটার।

এরপর ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসে ফিরতে মেসি পাড়ি দেবেন আরও ৭ হাজার ১২৬ কিলোমিটার। অর্থাৎ ৬ আগস্ট থেকে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩২ দিনে মেসি সব মিলিয়ে ভ্রমণ করবেন ২৮ হাজার ১১০ কিলোমিটার। যেখানে মেসির ভ্রমণের হিসাব দাঁড়ায় প্রতিদিন গড়ে ৮৭৮.৪৩ কিলোমিটার।

আরও পড়ুন

মেসি গোল পাননি, জেতেনি ইন্টার মায়ামিও