‘মেসি-ম্যানিয়া’য় দেড় মাসেই যত আয় করল এমএলএস ও অ্যাপল

মেসি যুক্তরাষ্ট্রে পা রেখেছেন সেই দেশের ফুটবলকেই বদলে দিতেগ্রাফিক্‌স : প্রথম আলো

লিওনেল মেসি কি শুধু ইন্টার মায়ামিকে শিরোপা জেতাতেই যুক্তরাষ্ট্রে পা রেখেছেন? যদি আপনার উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে আপনি ভুল। কারণ, শুধু মায়ামির জন্য নয়, মেসি যুক্তরাষ্ট্রে পা রেখেছেন সেই দেশের ফুটবলকেই বদলে দিতে, কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে।

সেটা ব্যবসার দিকে থেকে হোক কিংবা ফুটবলের মান বিবেচনায়। মেসি যোগ দেওয়ার দেড় মাসের মাথাতেই ফুটবলের মান কতটা বেড়েছে, সেই আলোচনা করার সুযোগ নেই। তবে তাঁর প্রভাবে মেজর লিগ সকার (এমএলএস) কতটা আয় করল, সেই তথ্যগুলো জানা গেছে।

আরও পড়ুন

ইন্টার মায়ামিতে মেসিকে বরণ করে নেওয়া হয় গত ১৬ জুলাই। আর যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে তাঁর অভিষেক ২১ জুলাই ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে শেষ মুহূর্তে দুর্দান্ত এক ফ্রি কিকে দলকে জেতান মেসি

সব মিলিয়ে মায়ামির হয়ে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলেছেন, ৭৪৪ মিনিট মাঠে থেকেছেন, গোল করেছেন ১১টি। মায়ামিকে এনে দিয়েছেন লিগস কাপের ট্রফি। এরপর দলকে তুলেছেন ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে। এমএলএসে টানা ১১ ম্যাচে জয়হীন থাকা মায়ামি তাঁর ভেলায় চড়েই জয়ের ধারায় ফিরেছে। মেসির মাঠের এ দাপটের প্রভাব পড়েছে ব্যবসাতেও।

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া, সংগীত ও বিনোদনের ব্যবসা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান বোর্ডরুম জানিয়েছে, দেশটির ফুটবলে মেসির অভিষেকের পর থেকে ইন্টার মায়ামির ম্যাচের ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার টিকিট বিক্রি হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ৮৮৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

মায়ামির ম্যাচে স্টেডিয়ামের গ্যালারিগুলো দেখেই ধারণা করা গেছে, টিকিট বিক্রির অঙ্কটা এমন বড়ই হবে। কারণ, ইন্টার মায়ামির জার্সিতে মেসির সেই পরিচয়পর্ব থেকে শুরু করে অভিষেক ম্যাচ এবং এরপরের সব ম্যাচেই দেখা গেছে কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারি। আর টিকিটের দাম? রীতিমতো আকাশচুম্বী।

জানেন নিশ্চয়ই, মেসির চুক্তি আছে ‘টেক জায়ান্ট’ অ্যাপলের সঙ্গেও। এমএলএসের ম্যাচগুলো দেখা যায় অ্যাপল টিভি প্লাসে। নতুন সাবস্ক্রাইবারদের ম্যাচ দেখিয়ে যে আয় হবে, সেখান থেকে একটি অংশ মেসিকে দেওয়া হবে। প্রায় ১০ বছরের জন্য ২৫০ কোটি ডলারের (২৭ হাজার ২০২ কোটি টাকা) চুক্তি রয়েছে অ্যাপল ও এমএলএসের।

বোর্ডরুম জানিয়েছে, মেসির মায়ামির হয়ে মাঠে নামার পর থেকে ৩০ হাজার সাবস্ক্রিপশন বেড়েছে অ্যাপল টিভির, যা প্রতিষ্ঠানটির আয়ে যোগ করেছে ৩ কোটি ডলার (৩২৬ কোটি টাকা)। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল এখন রমরমা আয়ের ক্ষেত্রও। আর তাঁর সবটা জুড়েই আছেন মেসি।

আরও পড়ুন