লিওনেল মেসির সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বটা দারুণ। সেটি তো হবেই, বার্সেলোনার লা মাসিয়া একাডেমিতেই তো তাঁদের দুজনের একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। এরপর দীর্ঘ সময় বার্সেলোনায় খেলেছেন একসঙ্গে। কত সুখ–দুঃখের সঙ্গী। মেসির বিশ্বকাপ জয়ে দারুণ আনন্দিত আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।

২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গোল করে স্পেনকে বিশ্বকাপ জেতানো বার্সেলোনার সাবেক এই তারকা মনে করেন, মেসি বিশ্বকাপ জিতেছে সেটি দারুণ ব্যাপার। তবে মেসি যেভাবে বিশ্বকাপ জিতেছে, সেটি রীতিমতো রূপকথার মতোই।

এবারের কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সেরা খেলোয়াড় ছিলেন মেসিই। ইনিয়েস্তা মোটেও অবাক নন তাঁর বন্ধুর পারফরম্যান্সে, ‘সে যেভাবে খেলেছে, তাতে আমি অবাক নই। গোটা ক্যারিয়ারেই সে দলের মধ্যমণি হয়ে ছিল। তার পারফরম্যান্স সব সময়ই ফলনির্ধারক।’

বিশ্বকাপ জয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মেসির সঙ্গে সেভাবে কখনোই আলাপ হয়নি বলেই জানিয়েছেন ইনিয়েস্তা। তবে স্পেন তারকার মতে, প্রতিটি ফুটবলারেরই বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন থাকে। সেটি মেসিরও ছিল।

ইনিয়েস্তা, মেসি ও জাভি—বার্সায় যখন তিনজন একসঙ্গে খেলতেন
ফাইল ছবি: এএফপি

তবে মেসির বিশ্বকাপ জয়ে আর্জেন্টিনার এত বছরের হাহাকার ঘোচার ব্যাপারটিই ইনিয়েস্তাকে বেশি টানছে, ‘আমার সঙ্গে লিওর কখনোই সেভাবে বিশ্বকাপ নিয়ে কথা হয়নি। তবে প্রতিটি খেলোয়াড়ের মতো মেসিরও বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন থাকাটাই স্বাভাবিক। সেটি সে জিতল দুর্দান্তভাবে। তার এই জয়ে আর্জেন্টিনার দীর্ঘদিনের হাহাকারটাও ঘুচেছে। অনেক বছর ধরেই তো আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে।’

মেসি বিশ্বকাপ না জিতলেও ইতিহাসেই ঠাঁই পেতেন বলে মনে করেন ইনিয়েস্তা, ‘আমার কাছে মেসি বিশ্বকাপ জিতলেও সেরা, না জিতলেও সেরা। সে এমনিতেই ইতিহাসে জায়গা পেয়ে গেছে। বিশ্বকাপ জেতাটা তার জন্য অপার আনন্দের ব্যাপার। সেটি কেবল মেসিরই নয়, আর্জেন্টিনার জন্যও আনন্দের ব্যাপার। আমি নিশ্চিত, মেসিকে সেরা বলতে যাঁরা এত দিন কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন, তাঁরা এখন তাকে সেরাই বলবেন।’