সবাই তাঁকে মেসি মনে করায় চাপে পড়ে গিয়েছিলেন চেলসির ফরোয়ার্ড

চেলসির চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের নায়ক কাই হাভার্টজ।ছবি: রয়টার্স


বেশ আলোড়ন তুলে বায়ার লেভারকুসেন থেকে চেলসিতে নাম লেখান কাই হাভার্টজ। ২০২১-২২ মৌসুমে এই তরুণকে কিনতে চেলসির খরচ হয়েছিল ৮ কোটি ইউরো বা ৯০০ কোটির বেশি টাকা। নিজের এই দাম এবং তাঁকে ঘিরে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল, তা যেন হাভার্টজের নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছিল না।

এমনকি অনেকে তাঁকে মেসির মতো মনে করায় বেশ চাপও অনুভব করেছিলেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের সে সময়কার অনুভূতি তুলে ধরেন হাভার্টজ।

আরও পড়ুন

লেভারকুসেনের হয়ে খেলার সময়েই ‘বিস্ময়–বালক’ হিসেবে আলোচনায় এসেছিলেন হাভার্টজ। তাঁর জন্য বেশ কিছু ইংলিশ ক্লাব আগ্রহী হলেও শেষ পর্যন্ত চেলসি নিজেদের ক্লাব ইতিহাসের দ্বিতীয় দামি খেলোয়াড় হিসেবে কিনে নেয় হাভার্টজকে।

সে সময় নিজেকে নিয়ে এই উন্মাদনায় কেমন অনুভূতি হয়েছিল, তা জানাতে গিয়ে হাভার্টজ বলেছেন, ‘আমি জানি না এত টাকা কীভাবে দেওয়া হয়, তবে আমি বুঝি যে ফুটবলে এটা বেশ স্বাভাবিক। এটা চাপও নিয়ে আসে, কারণ মানুষ মনে করেছিল আমি মেসির মতো।’

ক্লাব বিশ্বকাপে দলকে শিরোপা এনে দেওয়া গোল করেছেন হাভার্টজ
ছবি: রয়টার্স

এত বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফির চাপটা কেমন ছিল, তা জানাতে গিয়ে হাভার্টজ এরপর যোগ করেছেন, ‘আমার বয়স মাত্র ২১-২২ বছর। কিন্তু মানুষ সেটা দেখে না। যে টাকাটা খরচ করা হয়েছিল, মানুষ দেখে সেটা। পাশাপাশি প্রত্যাশা করে যে প্রথম দিন থেকেই আপনি পারফর্ম করবেন। এতে আপনি চাপ বোধ করবেন। প্রথম কয়েক মাস ভালো ছিল না।’

আরও পড়ুন

সাম্প্রতিক সময়টা খুব একটা ভালো না গেলেও হাভার্টজ এই মুহূর্তে চেলসির আক্রমণভাগের অন্যতম অস্ত্র। তাঁর গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল চেলসি। গোল করেছিলেন ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালেও। চলতি মৌসুমে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে এই ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘আমরা একটি নতুন দল পেয়েছি, নতুন কোচ কাজ করছে এবং দলে নতুন মুখও এসেছে। নানা ধরনের ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে এই ড্রেসিংরুমটি একেবারেই নতুন। এখানে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার আছে, সম্পর্ক তৈরি করারও।’

আরও পড়ুন