মেসির ২০১০ ব্যালন ডি’অর জয় ছিল ‘অন্যায্য’

ব্যালন ডি’অর ট্রফি নিয়ে মেসিছবি: টুইটার

২০০৭ সালে তৃতীয় এবং ২০০৮ সালে দ্বিতীয় হওয়ার পর ২০০৯ সালে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জেতেন লিওনেল মেসি। এরপর টানা আরও ৩টি। মেসির এই চারটি ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের মধ্যে একটি তাঁর প্রাপ্য ছিল না বলে মনে করেন নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্লেমেকার ওয়েসলি স্নাইডার। তাঁর মতে, ২০১০ সালে মেসির ব্যালন ডি’অর ট্রফি জয়টা ছিল ‘অন্যায্য’!

২০০৯-১০ মৌসুমটা দুর্দান্তই কেটেছিল স্নাইডারের। ডাচ মিডফিল্ডার সেবার জোসে মরিনিওর ইন্টার মিলানের হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ, সিরি আ ও ইতালিয়ান কাপের শিরোপা। এ ছাড়া ২০১০ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে ফাইনালে তুলতেও বড় ভূমিকা রাখেন স্নাইডার; ফাইনালে যদিও স্পেনের কাছে হেরে গিয়েছিল ডাচরা।

অন্যদিকে সেই মৌসুমে লিওনেল মেসি বার্সেলোনার হয়ে শুধু লা লিগার শিরোপা জেতেন। ডিয়েগো ম্যারাডোনার কোচিংয়ে আর্জেন্টিনা সেবার দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছিল।

আরও পড়ুন
সাবেক ডাচ ফুটবলার ওয়েসলি স্নাইডার
ছবি: এএফপি

সব মিলিয়ে ২০১০ সালের ব্যালন ডি’অরে মেসির চেয়ে তাঁরই ওপরে থাকার উচিত ছিল বলে মনে করেন স্নাইডার। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, প্রথম তো নয়ই, স্নাইডার সেবার ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে সেরা তিনেও ছিলেন না। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিলেন সেই সময়ে মেসির দুই বার্সা সতীর্থ স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও জাভি হার্নান্দেজ।

সে বিষয় নিয়ে এত দিন পর স্নাইডার হতাশা প্রকাশ করেছেন মিসরের টিভি চ্যানেল আলহাইয়াহর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে। স্নাইডার বলেছেন, ‘২০১০ সালে আমি ব্যালন ডি’অর না জিতে মেসির জেতাটা ছিল কিছুটা অন্যায্য।’

তবে এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই বলেও জানালেন ইন্টার মিলান ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক মিডফিল্ডার, ‘কিন্তু আমি এমন লোক নই যে এ নিয়ে চিৎকার করব। ব্যালন ডি’অর ব্যক্তিগত পুরস্কার। আমি দলীয় ট্রফিতে বিশ্বাসী। আমাকে যদি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ব্যালন ডি’অরের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হয়, আমি চ্যাম্পিয়নস লিগই বেছে নেব।’

আরও পড়ুন

নেদারল্যান্ডসের জার্সিতে ১৩৪ ম্যাচ খেলে ৩১ গোল করা স্নাইডার এরপর যোগ করেন, ‘আমি চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিততে পেরেই খুশি।’ তবে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ জিততে না পারার আক্ষেপটা এখনো পোড়ায় স্নাইডারকে, ‘স্পেনের বিপক্ষে ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে জয় আমাদেরই প্রাপ্য ছিল। কিন্তু তারা অসাধারণ খেলেছে এবং আমাদের হারিয়েছে। ওই হার আমার হৃদয় এখনো ভেঙে দেয়।’

পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলা নেদারল্যান্ডস সেবারের ফাইনালে ১১৬ মিনিটে ইনিয়েস্তার একমাত্র গোলে হেরে যায়।

আরও পড়ুন