৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ—রেকর্ডের সামনে মেসি–রোনালদো
গতকাল রোববার রাতে আর্মেনিয়াকে ৯–১ গোলে উড়িয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে পর্তুগাল। আগের ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়ায় এই ম্যাচে খেলা হয়নি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। কিন্তু মাঠে না নেমেই আরেকটি বিশ্বকাপ খেলার ক্ষণগণনা এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছেন ‘সিআর সেভেন’।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাও। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৬টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন এই দুই মহাতারকা।
২০১৮ বিশ্বকাপ থেকেই মেসি–রোনালদো বিদায়ের পূর্বাভাস শুনছিলেন অনেকে। এরপর ২০২২ সালে তো অনেকেই তাদের ক্যারিয়ার শেষের এপিটাফও লিখে ফেলেন। কিন্তু মেসি ২০২২ বিশ্বকাপ জিতে নিজের ক্যারিয়ারকে পূর্ণ করেন আর রোনালদো বিদায় নেন কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। বিশ্বকাপ থেকে মেসির পূর্ণতায় এবং রোনালদোর অপূর্ণতায় বিদায় নেওয়াকেই তাঁদের শেষ পরিণতি হিসেবে ধরে নেন কেউ কেউ।
কিন্তু নিয়তির চাওয়া ছিল ভিন্ন কিছু। প্রায় তিন বছর পর এখন আরও একটি বিশ্বকাপ খেলার পথে দুই কিংবদন্তি। ২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোয় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে নিশ্চিতভাবে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু দুই তারকা।
সম্প্রতি পর্তুগালের জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকে সৌদি আরবে চলমান ট্যুরিজম কনফারেন্সে সিএনএন উপস্থাপক বেকি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে ভিডিও সংযোগে রোনালদো বলেন, ‘অবশ্যই (আমার) শেষ বিশ্বকাপ হবে এটা। কারণ, তখন আমার বয়স হবে ৪১।’
মেসি অবশ্য এখনো ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেননি, যদিও বলেছেন, ‘আমি সেখানে (বিশ্বকাপে) থাকতে চাই।’ চোটজনিত বড় কোনো সমস্যা না হলে মেসি যে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলছেন তা ধরে নেওয়া যায়। সব মিলিয়ে আরও একটি মেসি–রোনালদোময় বিশ্বকাপের আশা এখন করাই যায়।