চ্যাম্পিয়নস লিগে গত মৌসুমে সবচেয়ে দ্রুত দৌড়েছেন কে

বায়ার্ন মিউনিখের কানাডিয়ান উইঙ্গার আলফোনসো ডেভিসছবি: টুইটার

অভাবনীয় গতি, দুর্দান্ত ড্রিবলিং ও সৃষ্টিশীলতার কারণে আগেই তাঁর পরিচিতি ছিল ‘দ্য রোডরানার’ হিসেবে। এবার এ বিশেষণের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও পেলেন আলফোনসো ডেভিস। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে দ্রুতগতির খেলোয়াড় ছিলেন এই কানাডিয়ান ডিফেন্ডার। সম্প্রতি উয়েফা ২০২২-২৩ মৌসুমে সবচেয়ে দ্রুতগতির ফুটবলারদের তালিকা প্রকাশ করেছে। সে তালিকায় সবার ওপরে জ্বলজ্বল করছে ডেভিসের নাম।

ডেভিসের এ গতির ঝড় দেখা গেছে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। যেখানে তিনি দৌড়েছেন ঘণ্টায় ৩৭.১ কিলোমিটার গতিতে (২৩.১ মাইল)। ডেভিসের সঙ্গে গতিতে টেক্কা দিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন চেলসির মিখাইল মুদরিক। ৮ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ডে শাখতার দোনেৎস্ক থেকে চেলসিতে আসা এই ফরোয়ার্ড এখনো সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। তবে গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে গতিতে ঠিকই চমক দেখিয়েছেন মুদরিক।

আরও পড়ুন

যদিও তাঁর গতিময়তা চেলসির হয়ে ছিল না। তখনো তিনি শাখতারের খেলোয়াড় ছিলেন। গ্রুপ পর্বে সেল্টিকের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করা ম্যাচে মুদরিক দৌড়েছেন ঘণ্টায় ৩৬.৬ কিলোমিটার গতিতে। একই গতিতে দৌড়েছেন ফরাসি তারকা উসমান দেম্বলেও। এ মৌসুমে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যাওয়া দেম্বেলের এই গতির ঝড় অবশ্য বার্সার খুব বেশি উপকার করতে পারেনি। গ্রুপ পর্বে থেমে গিয়েছিল কাতালান ক্লাবটির যাত্রা।

গ্রাফিক্‌স : সাহিদ রহমান

তালিকায় মুদরিকের এই জায়গা পাওয়া আরেকটি বিশেষ কারণে। বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগে খেলা একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে শীর্ষ পাঁচে জায়গা পেয়েছেন মুদরিক। তবে মুদরিক ছাড়াও সব মিলিয়ে বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন এমন আরও তিনজন খেলোয়াড় ১১ জনের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। যাঁদের একজন নুনো তাভারেস। তবে আর্সেনালের এই ফুটবলার ২০২২ সাল থেকে মার্শেইয়ে ধারে খেলছেন। তাঁর গতির রেকর্ডও তাই ফরাসি ক্লাবটির হয়ে। ঘণ্টায় ৩৬.২ কিলোমিটার গতিতে দৌড়ে তাভারেস আছেন তালিকার ৭ নম্বরে।

যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছেন উসমান দেম্বেলে
ছবি: এএফপি

এ তালিকায় আছেন লিভারপুলের হাঙ্গেরিয়ান মিডফিল্ডার দমিনিক সোবোসলাইও। তবে তিনি ঘণ্টায় ৩৫.৯ কিলোমিটার গতির রেকর্ড গড়েন আরবি লাইপজিগের হয়ে। ৮ নম্বরে যিনি আছেন, সেই মুসা দিয়াবি এখন খেলছেন প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব অ্যাস্টন ভিলার হয়ে। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে তিনি ঘণ্টায় ৩৬.১ কিলোমিটার গতিতে দৌড়েছেন বেয়ার লেভারকুসেনের হয়ে।

তবে প্রিমিয়ার লিগ থেকে যে চার খেলোয়াড় তালিকায় জায়গা পেয়েছেন, তাঁদের তিনজন নিশ্চিতভাবে পরেরবার আর তালিকায় থাকতে পারবেন না। কারণ, বর্তমানে তাঁরা যেসব দলে খেলছেন, কোনো দলই চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা পায়নি। এখনো খেলার সুযোগ আছে কেবল তাবারেসের। যদিও তাঁর খেলা নির্ভর করছে অনেক ‘যদি’ ও ‘কিন্তু’র ওপর।

আরও পড়ুন

এ তালিকায় ৪ নম্বরে আছেন গত মৌসুমে সেমিফাইনালে খেলা এসি মিলান তারকা রাফায়েল লিয়াও। ঘণ্টায় ৩৬.৫ কিলোমিটার গতিতে দৌড়েছেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। আর ৩৬.৪ কিলোমিটার গতি নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছেন পোর্তোর গ্যাব্রিয়েল ভেরন। একটু পিছিয়ে থেকে ৩৬.৩ কিলোমিটার গতি নিয়ে তালিকার ছয়ে আছেন রিয়াল মাদ্রিদে খেলা ফেদেরিকো ভালভের্দে।

১১ জনের এ তালিকায় কিলিয়ান এমবাপ্পে ও কাইল ওয়াকারের নাম না দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। এ দুজনকে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা গতিময় তারকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একইভাবে অনেকের প্রত্যাশা ছিল, আর্লিং হলান্ডও হয়তো দ্রুতগতির তালিকায় জায়গা করে নেবেন। কিন্তু এ তালিকায় জায়গা পাননি ম্যানচেস্টার সিটির এই নরওয়েজীয় স্ট্রাইকারও।