সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেদিন প্রথমার্ধে লঙ্কানদের জালে তিনবার বল পাঠায় মেয়েরা। বাকি ৬ গোল হয় দ্বিতীয়ার্ধে। আজ ঢাকার কিংস অ্যারেনায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের সঙ্গে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে পিটার বাটলারের দল। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে গোল করেছেন মোসাম্মত সাগরিকা ও সিনহা জাহান শিখা।
এদিন ম্যাচের তিন মিনিটের মধ্যে দুবার কর্নার পায় বাংলাদেশ। কিন্তু কোনোটিই কাজে লাগাতে পারেনি মেয়েরা। এর ঠিক এক মিনিট পর ডান পাশ ধরে আক্রমণে ওঠা বাংলাদেশের পূজা দাসের লম্বা শট পোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়। অষ্টম মিনিটে জয়নব বিবির লং শট কোনোমতে আটকে দেন নেপালের গোলকিপার সুজাতা তামাং। এভাবে নিয়মিত আক্রমণ করার পর ১৩ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। বক্সের বাঁ পাশ থেকে সাগরিকার বাড়ানো বল পেয়ে জটলার মধ্যে থেকেই শট নেন মুনকি আক্তার। কিন্তু তাঁর শটে তেমন জোর না থাকায় প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন। সেই বল ডান পাশে ফাঁকা পেয়ে ফিরতি শটে জালে জড়ান সিনহা। টুর্নামেন্টে যেটা তাঁর দ্বিতীয় গোল।
নেপালও ছেড়ে কথা বলেনি। ১ গোল হজমের পর আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় তারা। তবে একাধিকবার সুযোগ নষ্ট আর বাংলাদেশের জমাট রক্ষণের কারণে বারবার গোলমুখে হতাশ হতে হয়েছে নেপালের ফুটবলারদের। ২৭ মিনিটে আনিশা রায়ের ফ্রি–কিক প্রতিহত হয় পোস্টে। এক মিনিট পর নেপালের আরেকটি আক্রমণ নস্যাৎ করেন বাংলাদেশের গোলকিপার স্বর্ণা রানী। ৩৩ মিনিটে নেপালের আক্রমণ রুখে দেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা।
৩৬ মিনিটে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২০ দলের ক্ষুরধার আক্রমণ রুখে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেও পারেনি নেপাল। ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাগরিকা। শান্তি মার্ডির ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে শট নেন শিখা, কিন্তু তাঁর শট সরাসরি প্রতিপক্ষ গোলকিপারের গায়ে লেগে ফিরে আসে। শিখার ফিরতি শট আবার সেই গোলকিপারের গায়ে লেগে দিক বদলায়। পোস্টের ডান পাশে থাকা সাগরিকা আর ভুল করেননি। নিখুঁত শটে নেপালের জাল কাঁপান এই ফরোয়ার্ড। এর আগে প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সাগরিকা। এরপর ৪৩ মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণ অরক্ষিত পেয়েও গোল আদায় করতে পারেনি নেপাল। তাদের মিনা দেউবার শট খুঁজে পায়নি বাংলাদেশের জাল।