পিএসজিতে এমবাপ্পে স্বাধীনতা পান, স্বাধীনতা পান না

কিলিয়ান এমবাপ্পেফাইল ছবি

কথাটা শুনে চমকে উঠেছিলেন অনেকেই।

কোনো রাখঢাক না রেখে কিলিয়ান এমবাপ্পে সরাসরিই বলে দিয়েছিলেন, পিএসজির তুলনায় ফ্রান্স দলে তিনি বেশি স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে পারেন। লিওনেল মেসি আর নেইমার তাঁকে নিয়মিত গোলে অ্যাসিস্ট করলেও ক্লাব ফুটবলে খেলার জায়গা কম পান বলে মন্তব্য করেছিলেন এমবাপ্পে।

২৩ বছর বয়সী ফরাসী ফরোয়ার্ড কথাগুলো বলেছিলেন গত সপ্তাহে ফ্রান্স-অস্ট্রিয়া ম্যাচের পর। উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচটিতে ২-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ফ্রান্স। একটি করে গোল করেন এমবাপ্পে ও অলিভিয়ের জিরু। খেলায় জিরুর সঙ্গে এমবাপ্পের রসায়ন ছিল চমৎকার।

আরও পড়ুন

অস্ট্রিয়ার আক্রমণভাগে দেখা গেছে চনমনে এমবাপ্পেকে। পিএসজিতে যে দৃশ্য প্রায়ই অনুপস্থিত থাকে।

খেলা শেষে ক্লাব ও জাতীয় দলের খেলার পার্থক্য নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে এমবাপ্পে বলেন, ‘ক্লাবের তুলনায় জাতীয় দলে আমাকে ভিন্নভাবে খেলতে বলা হয়। এখানে আমি প্রচুর স্বাধীনতা পাই। কোচও জানেন, এখানে নাম্বার নাইন হিসেবে জিরুর মতো একজন আছে। যে কিনা রক্ষণের দিকটা দখলে রাখে আর আমি আশপাশে ঘুরে জায়গামতো চলে যেতে পারি।’

এমবাপ্পের এমন মন্তব্যের পর পিএসজিতে তাঁর ভালো না থাকা নিয়ে আবার গুঞ্জন শুরু হয়।

লিগে পিএসজির সামনের ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গতকাল সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছিলেন কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়ের। এমবাপ্পেকে কি আসলেই ক্লাবে কম স্বাধীনতা পান, এমন প্রশ্ন ধেয়ে গিয়েছিল তাঁর দিকে। অভিযোগ অস্বীকারই করেছেন পিএসজি কোচ, ‘আমার মনে হয় না সে এখানে স্বাধীনতা কম পায়। সে আমাদের আক্রমণভাগের কেন্দ্রে আছে।’ তবে গালতিয়ের স্বীকার করেছেন পিএসজির আক্রমণভাগে জায়গা একটু কমই পান ফরাসি ফরোয়ার্ড, ‘ফ্রান্স দলে জিরু আছে, সে জায়গা করে দেয়। আমাদের এ ধরনের খেলোয়াড় নেই। তবে মেসি এবং নেইমারের কাছ থেকে জায়গামতো বল নেওয়ার মতো বুদ্ধি যথেষ্টই আছে এমবাপ্পের।’

২০১৭ সাল থেকে পিএসজিতে খেলেছেন এমবাপ্পে। এ বছর চুক্তি নবায়ন করেছেন আরও তিন বছরের জন্য। ক্লাবের ভবিষ্যৎ ভাবনা আবর্তিত হচ্ছে তাঁকে ঘিরে। ফ্রান্স দলে যে ভূমিকায় খেলেন, পিএসজিতে সেটি ভিন্ন বলে এমবাপ্পে যে মন্তব্য করেছেন, সেটি মেনে নিচ্ছেন পিএসজি কোচ, ‘ওর বিশ্লেষণ ঠিক। জাতীয় দলে যেভাবে খেলে আমাদের এখানে সেভাবে খেলে না। এটি নিয়ে প্রাক্–মৌসুমেই প্রেসিডেন্ট এবং স্পোর্টিং ডিরেক্টরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা একমত হয়েছিলাম যে আক্রমণভাগে চতুর্থ একজন খেলোয়াড় দরকার। তবে শেষ পর্যন্ত এমন কাউকে আমরা দলে নিতে পারিনি।’

নেইমারের সঙ্গে এমবাপ্পের সম্পর্কের দূরত্ব নিয়ে যে গুঞ্জন চলছে, সেটিও উড়িয়ে দিয়েছেন এ বছর পার্ক দ্য প্রিন্সেসে যোগ দেওয়া গালতিয়ের, ‘আমি বিস্মিত যে একই বিষয় নিয়ে আমাকে বারবার কথা বলতে হচ্ছে। আমি আসার পর ড্রেসিং রুমের পরিবেশ সব সময়ই স্বাভাবিক দেখে আসছি। অবাক হওয়ার মতো কিছুই ঘটেনি। খেলোয়াড়রা সবাই একত্রে খেলতে চায়, একসঙ্গে জিততে চায়। যে গল্পগুলো শোনা যায় আর যা বাস্তব, তার মধ্যে পার্থক্য আছে।’

আগামীকাল রাতে লিগ আঁ–তে নিসের মুখোমুখি হবে পিএসজি।