লেভানডফস্কির অনিচ্ছায় মার্শাল আর্টে যেতে পারেননি স্ত্রী

লেভা ও তাঁর স্ত্রী আনাছবি: ইনস্টাগ্রাম

রবার্ট লেভানডফস্কিকে নিশ্চয় নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। সময়ের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন, এই শতাব্দীরও অন্যতম সেরা লেভা। ঘরে এত বড় তারকা থাকার পরও অবশ্য খেলার জগতে লেভার পরিবারের আলাদা পরিচিতি আছে। পেশাদার প্রশিক্ষক ও কারাতে তারকা হিসেবে আগে থেকেই পরিচিত তাঁর স্ত্রী আনা লেভানডফস্কি।

নিজের সেই পরিচিতিকে আরও বিস্তৃত করার সুযোগ এসেছিল আনার সামনে। যিনি প্রস্তাব পেয়েছিলেন পেশাদার মিক্সড মার্শাল খেলোয়াড় হিসেবে যাত্রা শুরুর। আনাকে এই প্রস্তাব দিয়েছিল পোল্যান্ডের মিক্সড মার্শাল আর্টসের সবচেয়ে বড় কোম্পানি কেএসডব্লিউ। তবে লেভার অনিচ্ছার কারণে শেষ পর্যন্ত খেলা হয়নি আনার।

আরও পড়ুন

আনার এমন প্রস্তাব পাওয়া অবশ্য একেবারেই অনভিপ্রেত ছিল না। কারাতে ফাইটার হিসেবে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন বেশ আগেই। ২০০৯ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্যপদক পান আনা। পুরো ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে আনা জিতেছেন ৩৭টি পদক। অবসরের পর ডিগ্রিও অর্জন করেছেন শারীরিক শিক্ষায়। তিনি ‘হেলথি সেন্টার বাই আন’ নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করেন। যেখানে খাদ্য ব্যবস্থাপনা এবং ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন।

সম্প্রতি এক পডকাস্টে এমএমএ খেলোয়াড় হিসেবে যাত্রা শুরুর প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়ে আনা বলেছেন, ‘আমি রবার্টকে (লেভানডফস্কি) বলেছিলাম, যদি আমি তার স্ত্রী না হতাম, সম্ভবত এ ধরনের ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারতাম। আমার সঙ্গে কেএসডব্লিউর মালিক স্লাউমির পেসকোর একটি বৈঠক হয়েছিল। সে আমাকে বলেছিল, নতুন কিছু চেষ্টা করে দেখতে। সে হিসাব করে দেখায় যে প্রস্তুতির জন্য দুই বছর সময় লাগবে। আমি তাকে বলেছিলাম, “আমি আমার স্বামীর সঙ্গে প্রথমে কথা বলতে চাই”।’

লেভানডফস্কির স্ত্রী আনা একজন কারাতে খেলোয়াড়ও ছিলেন
ছবি: সংগৃহীত

এরপর অবশ্য এই বিষয় নিয়ে আনা ও লেভার মধ্যে কিছু মনোমালিন্যের সৃষ্টিও হয়। ঘটনা ব্যাখ্যা করে আনা বলেন, ‘আমি বৈঠক শেষ করার এক ঘণ্টার মধ্যে এ খবর সংবাদমাধ্যমে চলে আসে। আমার স্বামীও এই খবর সংবাদমাধ্যম থেকেই পায়। সে আমাকে বলে, “আনা, কী করছ তুমি? এসব কী”?’

আরও পড়ুন

শেষ পর্যন্ত এমএমএ ফাইটার হিসেবে অভিষেক না হলেও, শারীরিক প্রশিক্ষক ও পুষ্টিবিদ হিসেবে এরই মধ্যে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন আনা। তবে তাঁকে এমএমএর রিংয়ে আনার ব্যাপার আশা হারাতে চান না পোলিশ এমএমএ প্রমোশনের মালিকদের একজন জুলিটা গোরস্কা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা লেভানডফস্কির স্ত্রী আনাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলাম। তার এরই মধ্যে কারাতের অভিজ্ঞতা আছে। তাহলে কেন নয়? দেখা যাক, সামনেও সুযোগ আছে।’