নতুন দুই ব্রাজিলিয়ানকে কেন খেলায়নি আবাহনী

এএফসি কাপের জন্যই ব্রুনো (ডানে) আর জোনাথনকে (বামে) এনেছিল আবাহনী, ক্লাব ইগলসের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত তাঁরা খেলেননিছবি: শামসুল হক

মালদ্বীপের ক্লাব ইগলসের বিপক্ষে এএফসি কাপের প্রাথমিক রাউন্ডের ম্যাচে সবার চোখ খুঁজে ফিরেছে আবাহনীতে নতুন আসা দুই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকে। ব্রুনো মাতোস ও জোনাথন রেইস নামের দুই ব্রাজিলিয়ানকে শুধু এএফসি কাপের জন্যই দলে ভিড়িয়েছিল নীল–হলুদ শিবির। কিন্তু গতকাল সিলেটে আবাহনীর জার্সিতে খেলা ছয় বিদেশি ফুটবলারের মধ্যে ঠাঁই হয়নি ব্রুনো, জোনাথন কারোরই।

ক্লাব ইগলসের বিপক্ষে আবাহনী মাঠে নামিয়েছে মোহামেডান, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও ফর্টিস এফসি থেকে ধারে নেওয়া তিন বিদেশিকে। তাঁরা হলেন উজবেকিস্তানের মোজাফ্ফরভ, গ্রানাডার কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট ও ব্রাজিলের দানিলো আগাস্তু। খেলেছেন ইরানের মিলাদ শেখ ও নাইজেরিয়ার দুই ফুটবলার এমেকা ও ওজোকু ডেভিড। আবাহনী ইগলসকে হারিয়েছে শেখ জামাল ও ফর্টিস থেকে নেওয়া দুই বিদেশি স্টুয়ার্ট ও দানিলোর গোলে।

লিবিয়ার এক ক্লাবে নাকি চুক্তি করেছিলেন ব্রুনো। সেই ক্লাবে তাঁকে ছাড়পত্র দেয়নি
ছবি: শামসুল হক

এএফসি কাপের জন্য ব্রুনো ও জোনাথনকে নেওয়া হলেও তাঁরা খেলতে পারেননি দুটি ভিন্ন কারণে। আবাহনী ক্লাব সূত্র জানিয়েছে, ব্রুনো খেলতে পারেননি আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র না পাওয়ার কারণে। জোনাথনকে খেলানো হয়নি সিলেটের বৃষ্টিভেজা কর্দমাক্ত মাঠের কারণে।

আরও পড়ুন
জোনাথন রেইসের ছিল প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের ফিটনেসের অভাব
ছবি: প্রথম আলো

আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ব্রুনোর ছাড়পত্র আমরা পাইনি। সে লিবিয়ার একটি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। কিন্তু সেই ক্লাবটি ব্রুনোকে ৩০ আগস্টের আগে ছাড়পত্র দিতে রাজি নয়। সে কারণে ওকে খেলাতে পারিনি। জোনাথন খেলেনি কর্দমাক্ত মাঠের উপযোগী খেলোয়াড় না হওয়ায়।’

আরও পড়ুন

আবাহনী কোচ মারিও লেমোসও লিবিয়ার ক্লাবটির নাম বলতে পারেননি, ‘ব্রুনোর ছাড়পত্র না পাওয়ায় আমরা ওকে খেলাতে পারিনি। জোনাথনের ব্যাপার অবশ্য ভিন্ন। এএফসি কাপের ম্যাচ খেলার মতো ফিটনেস ওর মধ্যে পাইনি। আমরা জানতে পেরেছি, ও তিন মাস প্রতিযোগিতামূলক কোনো ম্যাচই খেলেনি।’

এদিকে ব্রুনোর প্রোফাইল বলছে তিনি ইন্দোনেশিয়ার ক্লাব বারিতো পুতেরা থেকে সৌদি আরবের দ্বিতীয় স্তরের লিগের ক্লাব আল জিলে যোগ দিয়েছিলেন এ বছরের জানুয়ারিতে। আবাহনীতে আসেন ৭ আগস্ট। ট্রান্সফার মার্কেটে লিবিয়ান কোনো ক্লাবের উল্লেখ নেই।

আরও পড়ুন
দুই ব্রাজিলিয়ানকে এনেও এএফসি কাপে খেলাতে পারেনি আবাহনী
ছবি: প্রথম আলো

ট্রান্সফার মার্কেটের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্রুনো ইন্দোনেশিয়ার বারিতো পুতেরা ছাড়াও খেলেছেন সার্বিয়া, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের সর্বোচ্চ পর্যায়ের লিগে। জোনাথন এসেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান আইপার্ক ও থাইল্যান্ডের বেশ কয়েকটি ক্লাবের হয়ে খেলে।

২২ আগস্ট কলকাতায় মোহনবাগানের বিপক্ষে প্লে–অফেও ব্রুনোকে পাওয়া যাচ্ছে না। জোনাথনের খেলাও অনিশ্চিত। আবাহনীর হাতে থাকছে আরও ছয়জন বিদেশি। যাঁর মধ্যে ম্যাচে খেলতে পারবেন সর্বোচ্চ ছয়জন।