ফ্রাঙ্কফুর্ট ১-৫ লিভারপুল, চেলসি ৫-১ আয়াক্স
মাঠে নামলেই হার, একটার পর একটা— এভাবেই কেটেছে লিভারপুলের গত এক মাস। প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ মিলিয়ে টানা চার ম্যাচে হেরে বসা ইংলিশ ক্লাবটি অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে আজ। সেটাও দাপুটে ফুটবল খেলেই।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের তৃতীয় ম্যাচ-ডেতে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লিভারপুল। আগের চার ম্যাচে মোটে ৩ গোল করতে পারা দলটির হয়ে আজ গোল করেছেন ৫ জন— উগো একিতিকে, ভার্জিল ফন ডাইক, ইব্রাহিমা কোনাতে, কোডি গাকপো ও ডমিনিক সোবোসলাই।
লিভারপুলের মতো বড় জয় পেয়েছে আরেক ইংলিশ ক্লাব চেলসিও। স্টামফোর্ড ব্রিজে ডাচ ক্লাব আয়াক্সকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে এনজো মারেসকার দল।
২৩ সেপ্টেম্বর লিগ কাপের তৃতীয় রাউন্ডে সাউদাম্পটনকে হারানোর পর থেকেই জয়খরায় ভুগছিল লিভারপুল। আজ ডয়েচে ব্যাংক পার্কেও প্রথমে গোল হজম করেছে দলটি। ২৬তম মিনিটে মারিও গোটসের পাস থেকে বল পেয়ে রাসমুস ক্রিস্টেনসেন কোনাকুনি শটে গোল করে ফ্রাঙ্কফুর্টকে এগিয়ে দেন। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় লিভারপুল। ৩৫তম মিনিট থেকে পরের ৯ মিনিটের মধ্যে আসে তিন গোল।
প্রথমে ক্ষিপ্রগতিতে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে ১-১ করেন একিতিকে। ৩৯ মিনিটে গাকপোর কর্নারে লাফিয়ে হেডে দলকে এগিয়ে দেন ফন ডাইক। ৪৪ মিনিটে আরেকটি কর্নার থেকে হেডে গোল করে লিভারপুলকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন কোনাতে।
ম্যাচে স্লটের দলের বাকি দুই গোল আসে বিরতির পর। ৬৬তম মিনিটে ফ্লোরিয়ান ভির্টৎসের পাস থেকে বল পেয়ে দলের চতুর্থ গোল এনে দেন গাকপো। আর ৬৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরাল শটে ব্যবধান ৫-১ বানান সোবোসলাই।
বড় ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মোহাম্মদ সালাহ ও আলেক্সিস ম্যাক আলিস্টার। তবে শেষ দিকে গোল করতে পারেননি তাঁরা। শেষ বাঁশির পর জয়ে ফেরার স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে লিভারপুল।
তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল এখন ৬ নম্বরে।
এদিকে বড় জয়ের পর পয়েন্ট তালিকার ১১ নম্বরে উঠে এসেছে চেলসি। মারেসকার দল নিজেদের মাঠে আয়াক্সকে হারিয়েছে ৫-১ গোলে। ১৮তম মিনিটে মার্ক গিউ আর ২৭তম মিনিটে ময়েজেস কাইসেদোর গোলে চেলসি এগিয়ে যাওয়ার পর ৩৩ মিনিটে আয়াক্সের হয়ে এক গোল শোধ দেন ভাউট ভেগহোস্ট।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরও দুটি গোল পায় চেলসি। দুটিই পেনাল্টি থেকে। একটি করেন এনজো ফার্নান্দেজ, অন্যটি এস্তেভাও। বিরতির পর ৪৮তম মিনিটে চেলসির পঞ্চম ও শেষ গোলটি করেন তাইরিক জর্জ।