বার্সেলোনার জন্য বড় দুঃসংবাদ, স্পেনের জন্যও
বার্সেলোনার জন্য তো এটা বড় দুঃসংবাদ বটেই, খবরটা শুনে স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের কপালেও নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তার ভাঁজ। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার পাবলো গাভিকে খেলতে দেখা যাবে না সামনের লম্বা সময়। শুরুতে যা ছোটখাটো হাঁটুর চোট মনে হয়েছিল, সেটাই রূপ নিয়েছে বড় সমস্যায়। গতকাল নিশ্চিত হয়েছে, বার্সেলোনার এই তরুণ অন্তত চার-পাঁচ মাস মাঠের বাইরে থাকবেন।
সেপ্টেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতির আগে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন গাভি। শুরুতে বার্সার মেডিকেল টিম ভেবেছিল, স্রেফ একটা ছোট অস্ত্রোপচারেই ব্যথা কমে যাবে। হাঁটুর ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাটা পরিষ্কার করে দিলে চার-পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে মাঠে ফেরা সম্ভব হবে। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর দেখা গেল, আসল সমস্যা আরও গভীর। গাভির হাঁটু প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। শেষ পর্যন্ত পূর্ণ সুস্থতার জন্য বড় অস্ত্রোপচারই করতে হয়েছে। এর মানে এখন তাঁর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘ। সময় লাগবে অন্তত চার থেকে পাঁচ মাস।
বার্সেলোনার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মূল দলের খেলোয়াড় পাবলো পায়েজ গাভিরা (গাভি) মেনিসকাসে চোট পেয়েছেন। আথ্রোস্কোপি করে সেটি সেলাই করা হয়েছে, যাতে মেনিসকাস অক্ষত থাকে। তাঁর সেরে ওঠার সময় চার থেকে পাঁচ মাস।’
প্রাক্-মৌসুম থেকেই গাভির পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো। ঠিক এই সময়ে তাঁর এভাবে ছিটকে পড়া বার্সেলোনার জন্য চিন্তার বিষয়। ক্লাবের টানা ব্যস্ত সূচি সামনে। এ সপ্তাহেই বার্সা যাচ্ছে লা লিগায় রিয়াল ওভিয়েদোর মাঠে। এরপর সপ্তাহান্তে প্রতিপক্ষ রিয়াল সোসিয়েদাদ। আর তার পরের বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজিকে আতিথ্য দেবে তারা। বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিকের জন্য আরও দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, হেতাফের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে পেশিতে চোট পেয়েছেন ফারমিন লোপেজ, অন্তত তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে তিনি। আর চোটের কারণে আগের সপ্তাহে খেলতে পারেননি লামিনে ইয়ামালও।
আর শুধু বার্সেলোনা কেন, স্পেনের জন্যও তো গাভির এই চোট বড় ধাক্কা। সামনে ২০২৬ বিশ্বকাপও। স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে নিশ্চয়ই অধীর আগ্রহে চোখ রাখবেন গাভির পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার দিকে। আগামী বছরের আগে গাভির ফেরার সম্ভাবনা এমনিতেই নেই। আর এই দীর্ঘ অনুপস্থিতি হয়তো তাঁর বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনাকেই ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।