৫ম শিরোপার খোঁজে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে রিয়াল

গোলের পর ভিনিসিয়ুসের উদ্‌যাপনছবি: রয়টার্স

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ৫ম শিরোপা জিততে রিয়াল মাদ্রিদের সামনে আর মাত্র একটি ধাপ পেরোনোর অপেক্ষা। আজ রাতে সেমিফাইনালে মিসরের ক্লাব আল আহলিকে ৪-১ গোলে হারিয়ে এই প্রতিযোগিতায় আরেকবার ফাইনালের মুখ দেখল স্প্যানিশ পরাশক্তিরা। ১১ ফেব্রুয়ারির ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ আল হিলাল। প্রথম সেমিফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লামেঙ্গোকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সৌদি ক্লাবটি।

রিয়ালের হয়ে প্রথম গোলটি করেন সাম্প্রতিক সময়ে ফাউল ও বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হওয়া ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। পরের গোলটি আসে ফেদে ভালভার্দের কাছ থেকে। আল আহলির হয়ে এক গোল শোধ করেন আলি মালুউল। আর শেষ দিকে দৃষ্টিনন্দন এক গোলে রিয়ালের হয়ে ব্যবধান ৩-১ করেন রদ্রিগো। একটু পর আরেক গোল করেন সের্হিও আরিবাস।

আরও পড়ুন

মরোক্কোর রাজধানী রাবাতে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল রিয়াল । ম্যাচের ৩ মিনিটেই ছোট পাসের পসরায় দারুণ এক  আক্রমণ শানায় রিয়াল। তবে আল আহলির ডি-বক্সে গিয়ে আটকে যায় সেই আক্রমণ। মিসরীয় ক্লাবটি অবশ্য নিজেদের পুরোপুরি গুটিয়ে রাখেনি। রিয়ালের গতি ও পাসিং ফুটবলের সঙ্গে অবশ্য পেরে ওঠছিল না তারা। শুরুতে অবশ্য দাপটের সঙ্গে খেললেও রিয়ালের আক্রমণগুলো পারছিল না আল আহলির রক্ষণ দেয়াল পেরোতে।

গোলের কাছাকাছি যেতে না পারলেও ছোট পাসের খেলায় নিচ থেকে আক্রমণ তৈরি করে আল আহলিকে রীতিমতো নাকাল করে ছাড়ে রিয়াল খেলোয়াড়েরা। ম্যাচের ১৫ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় রিয়াল।

রিয়ালের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন ভালভার্দে
ছবি: রয়টার্স

১৭ মিনিটে রদ্রিগোকে ডি-বক্সের ভেতর দারুণভাবে রুখে দেয় আল আহলির এক ডিফেন্ডার। ১৯ মিনিটে  নিজেদের প্রথম সুযোগটিকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় মিসরীয় ক্লাবটি। বিপরীতে রিয়াল এ সময় দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেললেও ডি-বক্সে ঢুকে ঠিকঠাক শট নেওয়ার কাজটিই শুধু করতে পারছিল না।

২৬ মিনিটে আল আহলি তারকা আবদেলমোনেমের হেড অল্পের জন্য বার উঁচিয়ে যায়। একটু পর আরেকটি সহজ এক সুযোগ হাতছাড়া করে আল আহলি। পরের মুহূর্তে রদ্রিগো-ভিনিসিয়ুসের সমন্বয়ে তৈরি আক্রমণে গোল করতে ব্যর্থ হন ভিনি। এরপর রদ্রিগোর প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে বাইরে যায়।

আরও পড়ুন

৩১ মিনিটে আল শাহাতের শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রেই লুনিন। ৩৭ মিনিটে ফেদে ভালভার্দের শট থামান আল আহলি গোলরক্ষক। অবশেষে প্রথমার্ধের শেষ দিকে গিয়ে গোলমুখ উন্মোচন করেন ভিনিসিয়ুস। দারুণ ফিনিশিংয়ে রিয়ালকে এগিয়ে দেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

প্রথমার্ধ যেখানে শেষ করেছিল সেখান থেকেই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে রিয়াল। মাঠে নামার এক মিনিট পরই ব্যবধান ২-০ করে স্প্যানিশ পরাশক্তিরা। রিয়ালের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভালভার্দে। জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার জোর প্রচেষ্টা চালায় আল আহলি। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলটি পাওয়া হচ্ছিল না তাদের।

আরও পড়ুন

শেষ পর্যন্ত আল আহলির প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে। পেনাল্টি গোলে ব্যবধান কমায় মিসরীয় ক্লাবটি। একটু পর মোহাম্মদ মাগদি সহজ সুযোগ হাতছাড়া না করলে ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারত আল আহলি। ৭৯ মিনিটে অল্পের জন্য বেঁচে যায় রিয়াল। এবার রিয়ালকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। ৮৬ মিনিটে লুকা মদরিচের পেনাল্টি ঠেকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন আল আহলি গোলরক্ষক আল শেনউই। যদিও এই সুুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তাঁর সতীর্থরা।

যোগ করা সময়ে রিয়ালের হয়ে প্রাপ্য গোলটি পান ম্যাচে দারুণ খেলা রদ্রিগো। এরপর আরও এক গোল করেন আরিবাস। আর শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে রিয়াল।