জোড়া গোলে রোনালদোর রেকর্ড ভাঙার আরও কাছে এমবাপ্পে
কোপা দেল রেতে শেষ ষোলোয় ওঠার ম্যাচে বড় অঘটন থেকে বেঁচে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ মুহূর্তে জমে ওঠা লড়াইয়ে তৃতীয় স্তরের দল তালাভেরার বিপক্ষে ৩–২ ব্যবধানে জিতেছে জাবি আলোনসোর দল।
এই ম্যাচেও রিয়ালের জয়ের নায়ক দারুণ ছন্দে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাঁর জোড়া গোলেই কোনোরকমে উদ্ধার পেয়েছে রিয়াল। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর একটি রেকর্ড ভাঙার পথেও আরেকটু এগিয়ে গেলেন এমবাপ্পে।
রিয়ালের হয়ে ২০১৩ সালে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ গোল করেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেই রেকর্ড ছুঁতে এমবাপ্পের লাগবে আর মাত্র এক গোল। ফরাসি তারকার গোলসংখ্যা এখন ৫৮। ২০২৫ সালে এমবাপ্পের হাতে আরও একটি ম্যাচ বাকি। শনিবার রাতে সেভিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচে এক গোল করলেই ছুঁয়ে ফেলবেন রোনালদোকে। আর জোড়া গোল পেলে এককভাবে উঠে যাবেন শীর্ষে।
চলতি মৌসুমে এমবাপ্পে কতটা অপ্রতিরোধ্য, সেটা বোঝা যাবে আরেকটি পরিসংখ্যানে। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের করা ৫০ গোলের ৩৩টিতে তাঁর সরাসরি অবদান (২৮ গোল এবং ৫ অ্যাসিস্ট), যা রিয়ালের মোট গোলে ৬৬ শতাংশ।
তালাভেরার বিপক্ষে একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে রিয়াল। তবে এই ম্যাচেও এমবাপ্পেকে বিশ্রাম দেননি কোচ আলোনসো। ম্যাচের ৪১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এমবাপ্পের গোলে লিড নেয় রিয়াল। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আত্মঘাতী গোলে লিড দ্বিগুণ করে রিয়াল। দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল সহজ জয়ই পেতে যাচ্ছে রিয়াল।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় ম্যাচের রূপ, যেখানে ম্যাচের শেষ ১১ মিনিটে জোড়া গোল হজম করে রিয়াল। ৮০ মিনিটে নাহুয়েল আরোয়ো মাজোরার গোলে ব্যবধান ২–১ করে তালাভেরা। এরপর ৮৮ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন এমবাপ্পে। কিন্তু এরপরও হাল ছাড়েনি তালাভেরা।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে গনসালো ডি রেনজোর গোলে ব্যবধান ৩–২ করে তারা। শেষ দিকে আন্দ্রে লুনিনের দারুণ একটি সেভের কারণে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়নি। ৩–২ গোলের জয়ে শেষ ষোলোয় ওঠে আলোনসোর দল।
ম্যাচ শেষে এমবাপ্পের প্রশংসায় রিয়াল কোচ আলোনসো বলেন, ‘তার দুই গোল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। কিলিয়ান সব সময়ই সহজে গোল করতে পারে। তৃতীয় গোলটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণেই আমরা তাকে মাঠে রেখেছিলাম।’