এত মিল কীভাবে হয়: চ্যাম্পিয়নস লিগে অবিশ্বাস্য কাকতাল
খেলার মাঠে খেলা তো হয়ই, এর বাইরে হয় বিচিত্র অনেক কিছুই। মাঠে ও মাঠের বাইরের বিচিত্র সব ঘটনা নিয়েই এ আয়োজন।
কাকতাল শব্দটার মানে বোঝার জন্য এর চেয়ে ভালো উদাহরণ আর হয় না!
১৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। ডেনমার্কের ক্লাব এফসি কোপেনহেগেনের হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেক হলো রদ্রিগো উয়েসকাসের। ঘটনাক্রমে সেদিন ছিল আবার মেক্সিকান খেলোয়াড়ের জন্মদিন। ২০০৩ সালে জন্মগ্রহণ করা সেই উয়েসকাস সেদিন জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে সতীর্থদের দিয়ে ১টি গোল করিয়ে (অ্যাসিস্ট) ইতিহাস গড়েন। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে নিজের জন্মদিনে অ্যাসিস্ট করার কীর্তি গড়েন ২২ বছর বয়সী এই ফুটবলার। উইঙ্গার ও রাইটব্যাক—দুই পজিশনেই খেলতে অভ্যস্ত উয়েসকাস সেদিন খেলেছিলেন রাইটব্যাক হিসেবে।
জন্মদিনে চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিষেকে অ্যাসিস্ট করা প্রথম খেলোয়াড়ের নাম লুইস হল্টবি। মজার ব্যাপার, জার্মানির হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এই মিডফিল্ডারের জন্মদিনও ১৮ সেপ্টেম্বর, আর উয়েসকাসের মতো হল্টবির চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিষেকও ২২তম জন্মদিনে। ২০১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে একটি অ্যাসিস্ট করেন জার্মান ক্লাব শালকের এই মিডফিল্ডার।
২২তম জন্মদিনে ১৮ সেপ্টেম্বর চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেকে একটি করে অ্যাসিস্টেই থেমে নেই দুজনের মিল। হল্টবির মতো উয়েসকাসও জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন তিনটি ম্যাচ। জার্মানির হয়ে সর্বশেষ ২০১২ সালে ম্যাচ খেলা হল্টবির ম্যাচসংখ্যা আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ২০২৪ সালে মেক্সিকোর হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলা উয়েসকাসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার না আবার তিন ম্যাচে থেমে যায়!
এবার অমিলের কথা বলা যাক। উয়েসকার দল কোপেহেগেন লেভারকুসেনের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করলেও হল্টবির দল জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছিল, অলিম্পিয়াকোসকে হারিয়েছিল ২-১ গোলে।