‘চ্যাম্পিয়নস লিগ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে’

ঘরোয়া ডাবল জিতলেন গার্দিওলাছবি: রয়টার্স

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ম্যানচেস্টার সিটিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা এনে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন পেপ গার্দিওলা। এর মধ্যে এক মৌসুমে ফাইনালে খেললেও চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি জিততে পারেনি ম্যান সিটি। এবারও সিটির সামনে সুবর্ণ সুযোগ ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জেতার।

আগামী শনিবার রাতের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে হারাতে পারলেই প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের সুযোগ পাবে ইতিহাদের ক্লাবটি। আছে ট্রেবল জয়ের সুযোগও। সিটির হয়ে এখনো চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা না হলেও গার্দিওলার ইউরোপিয়ান ভাগ্য কিন্তু বেশ ভালোই। খেলোয়াড় ও কোচ দুই ভূমিকাতেই চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার সুযোগ হয়েছে তাঁর। চ্যাম্পিয়নস লিগের আরেকটি ফাইনালে মাঠে নামার আগে নিজের ভাগ্য নিয়ে সন্তুষ্টির কথায় বলেছেন গার্দিওলা। বলেছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগ তাঁকে অনেক কিছুই দিয়েছে।

আরও পড়ুন

একবার খেলোয়াড় হিসেবে এবং দুবার কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছেন গার্দিওলা। তবে বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যান সিটির হয়ে বারবার চেষ্টা করেও চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার মুখ দেখেননি গার্দিওলা। আরেকটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগে পেছন ফিরে তাকিয়ে গার্দিওলা বলেন, ‘আমি ১০টি চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছেছি। আমি তিনটি ফাইনাল খেলে দুটিতে জিতেছি। এটা আমার জন্য চতুর্থ ফাইনাল। এই প্রতিযোগিতা আমাকে যা দিয়েছে, তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। যদি আমার জীবন এখানেই শেষ হয়ে যায় তবে আমার দখলে খেলোয়াড় হিসেবে একটি এবং কোচ হিসেবে দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ থাকবে।’

প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি হাতে পেপ গার্দিওলা
ছবি: রয়টার্স

ফুটবল যেমন দেয়, তেমনি অনেক সময় কেড়েও নেই। জীবন ও ফুটবলের বাস্তবতা মনে করিয়ে দিয়ে গার্দিওলা আরও বলেছেন, ‘ফুটবল দেয় এবং নেয়ও। জীবন কখনো ন্যায্য নয়। কিন্তু যা আমার জন্য ন্যায্য নয়, তা আতলেতিকো মাদ্রিদ, রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা বার্সেলোনার জন্য ন্যায্য হতে পারে। পৃথিবীতে সব এভাবেই ঘটে। আমরা সব সময় বেশি বেশি চায় এটা ঠিক নয়। আপনি উচ্চবিলাসী হবেন কিন্তু লোভী নয়।’

আরও পড়ুন

চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে গার্দিওলা বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতা আমাকে অনেক বাজে সময় দেখিয়েছে, যা আমাকে কষ্ট দিয়েছে। এসব আমার মনে থাকবে। তবে এটা আমাকে আনন্দের সময়ও উপহার দিয়েছে। খেলাটা এমনই, জীবনও।’