মেসির প্রতিশোধের ম্যাচে বিধ্বস্ত মায়ামি

হতাশ মেসিএএফপি

কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম লেগের ম্যাচটা ছিল ঘটনাবহুল। ২-১ গোলে হারা সেই ম্যাচে মাঠে না থেকেও ব্যাপকভাবে ছিলেন লিওনেল মেসি। সেই ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ভিআইপি গ্যালারি থেকে মেসির প্রতিপক্ষের ড্রেসিংরুমে গিয়ে অসদাচরণ করার খবরও পরে সামনে আসে। মেসিকে নিয়ে মন্তেরি কোচের কটূক্তির কথাও শোনা যাায়।

সব মিলিয়ে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটিকে ধরা হচ্ছিল মেসির জন্য প্রতিশোধের। প্রতিশোধ দূরে থাক, মন্তেরির মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারল না মেসির মায়ামি। মেক্সিকান ক্লাব মন্তেরির কাছে ৩-১ (দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২) গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে ফ্লোরিডার ক্লাবটি। এই হারে ২০২৫ সালে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নও ভেঙে গেল মায়ামির।

আরও পড়ুন

প্রতিপক্ষের মাঠে এদিন শুরুটা মন্দ ছিল না মায়ামির। বলের দখল রেখে প্রতিপক্ষ রক্ষণে চাপ তৈরির চেষ্টা করে তারা। তবে বল দখলে যতটা মুনশিয়ানা দেখিয়েছে, সুযোগ তৈরিতে তার ছাপ ছিল না। মেসি বল পায়ে চেষ্টা করছিলেন গোলের সুযোগ তৈরির, যদিও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ২৫ মিনিটে মেসির শট চলে যায় বারের ওপর দিয়ে। বিপরীতে বলের দখল রাখতে না পারলেও সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল মন্তেরি।

৩১ মিনিটে গোলরক্ষক ডেরেক ক্যালেন্ডারের হাস্যকর এক ভুলে পিছিয়ে পড়ে মায়ামি। পোস্টের কাছাকাছি জায়গা থেকে সতীর্থকে পাস দিতে গিয়ে তিনি বল তুলে দেন মন্তেরির স্ট্রাইকার ব্র্যান্ডন ভাসকেজের পায়ে। এমন সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। লক্ষ্য ভেদ করে মন্তেরেকে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন। ৩৫ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন মেসি। এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মেসির পাস ধরে সুয়ারেজ গোল করলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সেটি।

দলকে জেতাতে পারেননি মেসি
এএফপি

বিরতির পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মায়ামি। সবাই তখন তাকিয়ে ছিল মেসির দিকে। যদিও চোট কাটিয়ে ফেরা মেসি ছিলেন কিছুটা ছন্দহীন। এর মধ্যে ৫৭ মিনিটে দুর্দান্ত এক শটে মায়ামিকে স্তব্ধ করে দেন মন্তেরির গেরমান বেরতেরমে। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর নেওয়া বুলেট গতির শট থামানোর কোনো উপায় ছিল না মায়ামি গোলরক্ষকের।

আরও পড়ুন

২ গোলে পিছিয়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়ে মায়ামি। এরপর ৬৪ মিনিটে মায়ামির আরেকটি ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন গালার্দো। ৩ গোলে পিছিয়ে পড়ে মায়ামি আক্রমণাত্মক হয়ে একের পর এক ফাউল করতে থাকে। যার জেরে ৭৮ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জর্দি আলবা। ৮৫ মিনিটে দিয়াগো গোমেজ মায়ামির হয়ে ১টি গোল শোধ দিলেও প্রতিশাধের ম্যাচ আর জেতা হয়নি মেসির। শেষ পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলে পিছিয়ে থেকে বিদায় নেয় মায়ামি।