বিশ্বকাপের ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মেসির পারফরম্যান্স কেমন
পোল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেই দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাবে আর্জেন্টিনা। তবে ড্র করলেও চলবে, যদি মেক্সিকো-সৌদি আরবের মধ্যকার গ্রুপের অপর ম্যাচটি ড্র হয়! তবে হারা চলবে না। হারলেই ২০০২ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় হয়ে যাবে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।
আজকের ম্যাচটা রবার্ট লেভানডফস্কির সঙ্গে মেসির লড়াই হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। ইউরোপে পোল্যান্ড বড় শক্তি না হলেও লেভানডফস্কি বড় তারকা। ইউরোপীয় ফুটবলের গোল মেশিন। বার্সেলোনার সাবেক ও বর্তমান দুই তারকার লড়াইয়ে সম্ভাবনা-শঙ্কার বাইরে বিশ্বকাপে ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মেসির পারফরম্যান্সের অতীত ইতিহাসও আলোচনায়।
বিশ্বকাপে মেসির অভিষেক ২০০৬ সালের জার্মানি বিশ্বকাপে। তিনি কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে আর্জেন্টাইন তারকা খেলছেন নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত মোট ৩১টি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। গোল করেছেন আটটি। এই ৩১ ম্যাচের ১২টি ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে।
ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এই ১২ ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতেছে পাঁচটিতে, ড্র তিনটি, হেরেছে চারটিতে। এই চার হারের দুটি জার্মানির বিপক্ষে (২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-০ হার ও ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে ১-০ হার)। বাকি দুটি হারের একটি ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে (২০১৮ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ৩-০ হার) ও ফ্রান্সের বিপক্ষে (২০১৮ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ৪-৩ হার।)
বিশ্বকাপে মেসির প্রথম গোল ২০০৬ সালে—সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে, ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই। ২০১৪ বিশ্বকাপে ইউরোপীয় দেশ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিপক্ষে গোল পেয়েছিলেন তিনি। সে ম্যাচে তাঁর একটি অ্যাসিস্টও ছিল।
ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সেটিই তাঁর শেষ গোল। ২০১৪ বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ড ও ২০১৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে অবশ্য দুটি অ্যাসিস্ট ছিল তাঁর। ২০১৮ বিশ্বকাপে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা।
বিশ্বকাপে মেসির আট গোলের তিনটিই নাইজেরিয়ার বিপক্ষে। ২০১৪ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিতে ছিল তাঁর জোড়া গোল। অন্যটি ২০১৮ বিশ্বকাপে। সার্বিয়া-মন্টেনেগ্রো ও বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিপক্ষে দুটি গোলসহ বিশ্বকাপে মেসির বাকি গোলগুলো—ইরান (২০১৪ বিশ্বকাপ), সৌদি আরব (২০২২ বিশ্বকাপ) ও মেক্সিকো (২০২২ বিশ্বকাপ)।