অভিষেকে উড়াল দিতে পারবেন তো নুনিয়েজ

কাতার বিশ্বকাপে উরুগুয়ের প্রথম ম্যাচ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষেছবি: এএফপি

উরুগুয়ের বিশ্বকাপ দল যেন তিন প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করছে। ৩৫ বা এর বেশি বয়সের খেলোয়াড় আছে ৬ জন। আবার ২৩ বা এর কম বয়সীও আছে ৫ জন। দিয়েগো গদিন, এদিনসন কাভানির মতো ‘বুড়ো’দের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে খেলছেন ফাকুন্দো পেলিস্ত্রি, মানুয়েল উগার্তোর মতো এই শতাব্দীতে জন্ম নেওয়া ‘পুঁচকে’রা।

এমন ‘অসম বয়সী’তে ভরা উরুগুয়ের বিশ্বকাপ-স্বপ্ন অবশ্য একদম সোজাসাপটা। কেউ ফেবারিট না বলুক, বাজির দরেও খুব ভালো দাম না উঠুক, দুবারের সাবেক চ্যাম্পিয়নদের লক্ষ্য শিরোপা ছাড়া আর কী!

আরও পড়ুন

কিন্তু শিরোপা জেতার লক্ষ্যের সঙ্গে কঠিন বাস্তবতার যোগসূত্র মেলানোর রসদ কি প্রথম বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের আছে? চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে আসা কাভানি, গদিন আর লুইস সুয়ারেজরা এরই মধ্যে ফুটবলে নিজেদের সেরা সময়টা পার করে ফেলেছেন। ২৬ সদস্যের দলে অর্ধেকই বিশ্বকাপ খেলতে এসেছেন এই প্রথম।

তবু দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম পরীক্ষা দিতে নামার আগে শিরোপা-স্বপ্নের কথাই বলেছেন উরুগুয়ে কোচ দিয়েগো আলোনসো, ‘উরুগুয়ের খেলোয়াড়েরা বিশ্বসেরা। সবার ভেতরে থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বোঝাপড়াও এটিই।’

দলীয় চেতনার কথা বললেও উরুগুয়ের বিশ্বকাপ–ভরসার অনেকখানি জুড়ে আসলে হাতে গোনা দু–তিনজন। রিয়াল মাদ্রিদের ফেদেরিকো ভালভের্দে, টটেনহামের রদ্রিগো বেনতাঙ্কুর আর লিভারপুল ফরোয়ার্ড দারউইন নুনিয়েজ। এর মধ্যে আক্রমণভাগ সামলানোর দায়িত্ব কাঁধে থাকবে ২৩ বছর বয়সী নুনিয়েজের কাঁধে।

আরও পড়ুন

জুলাইয়ে বেনফিকা থেকে লিভারপুলে যোগ দিয়েছেন দলবদলের রেকর্ড গড়ে (৭৫ মিলিয়ন ইউরো)। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৮ ম্যাচে ৯ গোল করে ছন্দেও আছেন। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে নামার আগে বেশ রোমাঞ্চিতও এই তরুণ, ‘চার বছর আগে বিশ্বকাপ দেখেছিলাম টিভিতে। এখন আমিও দেশের হয়ে খেলতে এসেছি। জানি, আমরা ফেবারিট নই। তবে লড়াই করার জন্যই এসেছি।’

নুনিয়েজের মতো লড়াইয়ের আশা শুনিয়েছেন অধিনায়ক গদিনও। ৩৬ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘দল হিসেবে আমরা মাঠে নামতে প্রস্তুত, একই সঙ্গে ভালো কিছু করার তাড়নাও বোধ করছি। আগামীকালই (আজ) সত্যিটা দেখা যাবে, আমরা মাঠেই কথা বলব।’

উরুগুয়ের মতো দলীয় চেতনার জয়গান তুলছে দক্ষিণ কোরিয়াও। এশিয়ান ফুটবলের পরাশক্তি দেশটি চার বছর আগে রাশিয়ায় জার্মানিকে হারিয়ে দিয়েছিল। তার আগে ঘরের মাটিতে হওয়া ২০০২ বিশ্বকাপে খেলেছিল সেমিফাইনালও। এশিয়ার মাটিতে আরেকটি বিশ্বকাপে আবারও ভালো কিছুর প্রত্যাশা দলটির।

আরও পড়ুন

তবে বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে সন হিউং-মিনের চোট কিছুটা দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়াকে। চ্যাম্পিয়নস লিগে মার্শেইয়ের বিপক্ষে বাঁ চোখে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। অস্ত্রোপচারও করাতে হয়েছে। তবে কাতারে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে মাস্ক পরে অনুশীলন করেছেন নিয়মিত। আজ উরুগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেন বলে ইঙ্গিতও দিয়েছেন কোচ পাওলো বেন্তো।