অজুহাতে এগিয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো, ম্যাচ খেলায় ব্রাজিলিয়ানরা

ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো এক বছরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেএক্স

অতিরিক্ত ম্যাচ খেলার চাপ নিয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোকে প্রায়ই অভিযোগ করতে দেখা যায়। পেপ গার্দিওলা–কার্লো আনচেলত্তিরা বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে টানা ম্যাচ খেলা নিয়ে উষ্মাও প্রকাশ করেছেন। খেলোয়াড়দের ক্লান্তি ও চোটপ্রবণ হয়ে পড়ার কারণ হিসেবেও বারবার সামনে আনা হয় অতিরিক্ত ম্যাচ খেলাকে।

কিন্তু ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর একটি পরিসংখ্যান ভিন্ন তথ্যই দিচ্ছে। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবোর দেওয়া তথ্যমতে, গত এক বছরে অর্থাৎ ২৩ জুন ২০২৪ থেকে ২৩ জুন ২০২৫ পর্যন্ত ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ব্রাজিলিয়ান চার ক্লাব ইউরোপসহ অন্য মহাদেশের ক্লাবগুলোর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে।

যেখানে সবার ওপরে আছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো। গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি ৭৭ ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিলিয়ান শীর্ষ লিগে সবার ওপরে থাকা ফ্ল্যামেঙ্গো। গড়ে প্রতি ৪ দশমিক ৭৪ দিন পরপর মাঠে নামতে হয়েছে ফ্ল্যামেঙ্গোকে।

আরও পড়ুন

এই তালিকায় দ্বিতীয় কোপা লিবার্তোদোরেস চ্যাম্পিয়ন বোতাফোগো। পিএসজিকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে আলোচনার জন্ম দেওয়া দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নরা গত এক বছরে ম্যাচ খেলেছে ৭৩টি (গতকাল রাতে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষ খেলা ম্যাচসহ)।

ইউরোপিয়ান দলগুলোর মধ্যে এক বছরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে রিয়াল
রয়টার্স

এক ম্যাচ কম নিয়ে তালিকায় তৃতীয় আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। আর ৭০ ম্যাচ খেলে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করা পালমেইরাস চতুর্থ (ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে ম্যাচসহ)।

তালিকার পাঁচ নম্বরেও নেই কোনো ইউরোপিয়ান ক্লাব। এ স্থানটি মিসরের ক্লাব আল আহলির। এক বছরে তারা খেলেছে ৬৬ ম্যাচ। ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর মধ্যে সবার ওপরে রিয়াল মাদ্রিদ। এক বছরে ৬৪ ম্যাচ খেলে তালিকার ছয়ে ইউরোপের সফলতম ক্লাবটি। অর্থাৎ প্রতি ৫ দশমিক ৭০ দিন পরপর একটি করে ম্যাচ খেলেছে ‘লস ব্লাঙ্কোস’রা।

আরও পড়ুন

রিয়ালের পরের ছয়টি স্থান ছয় ইউরোপিয়ান ক্লাবের দখলে। সে ক্লাবগুলো ইন্টার মিলান (৬১), পিএসজি (৬১), চেলসি (৫৯), ম্যানচেস্টার সিটি (৫৯), বেনফিকা (৫৮) ও আতলেতিকো মাদ্রিদ (৫৮)।

আর ক্লাব বিশ্বকাপের দলগুলোর মধ্যে এক বছরে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলেছে মরক্কোর ক্লাব উইদাদ কাসাব্লাঙ্কা। এক বছরে তারা খেলেছে মাত্র ৩৪ ম্যাচ।