সিটির জায়গায় রিয়াল–বার্সা হলে ছাঁটাই হতেন গার্দিওলা
ভুলে যাওয়ার মতো একটা মৌসুম কাটিয়েছেন পেপ গার্দিওলা। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে কোনো কিছুই জেতা হয়নি তাঁর। টানা চার প্রিমিয়ার লিগ জেতার পর এবার গার্দিওলার সিটি লিগ মৌসুম শেষ করেছে তৃতীয় হয়ে। চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের চেয়ে সিটি পিছিয়ে ছিল ১৩ পয়েন্টের বিশাল ব্যবধানে।
প্রিমিয়ার লিগের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগেও ভালো করতে পারেনি সিটি। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চ থেকে দলটি বিদায় নিয়েছে শেষ ষোলোর আগেই। শেষ পর্যন্ত সম্ভাবনা ছিল কেবল এফএ কাপ জেতার। কিন্তু সেখানেও ফাইনালে হেরেছে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে।
এমন ভরাডুবির পরও অবশ্য গার্দিওলার ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে না সিটি। স্প্যানিশ এই কোচের ওপর সিটির আস্থার বিষয়টি বোঝা যাবে একটি তথ্য থেকে। গত মৌসুমে সিটির কঠিন সময়টা ছিল অক্টোবের শেষ থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। সে সময় ১৩ ম্যাচের ৯টিতেই হেরেছিল তারা। কিন্তু সে সময়েই অর্থাৎ নভেম্বরেই গার্দিওলার সঙ্গে নতুন চুক্তি সম্পন্ন করে সিটি।
ধারণা করা হচ্ছিল, নতুন চুক্তি হয়তো নতুনভাবে উজ্জ্বীবিত করবে গার্দিওলাকে। কিন্তু তেমনটা হয়নি, মৌসুমে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি গার্দিওলা। তাঁর দাবি, এই ভরাডুবি যদি রিয়াল মাদ্রিদ বা বার্সেলোনার মতো ক্লাবের হয়ে হতো, তবে মাঝ মৌসুমেই ছাঁটাই হয়ে যেতেন তিনি। ক্লাবটা সিটি বলেই এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন।
ডিএজেডএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গার্দিওলা বলেছেন, ‘এই বছরটা যেমন গেছে, যদি এটা স্পেন হতো, তাহলে আমি অক্টোবর, নভেম্বর বা ডিসেম্বর পর্যন্ত কোচ হিসেবে থাকতাম না। যদি এটা বার্সা বা রিয়াল মাদ্রিদ হতো, তাহলে আমাকে তারা ছাঁটাই করত। কিন্তু এখানে (ম্যানচেস্টার সিটিতে) সেই প্রশ্ন কখনো ওঠেনি।’
এ সময় উদাহরণ হিসেবে কার্লো আনচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার প্রসঙ্গও টেনে আনেন গার্দিওলা। গত মৌসুমে রিয়ালকে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতালেও গার্দিওলার মতো এবার খালি হাতে শেষ করেছেন তিনি।
মৌসুম শেষে রিয়াল ছেড়ে ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছেন আনচেলত্তি। এ প্রসঙ্গে গার্দিওলা আরও যোগ করেন, ‘কার্লো আনচেলত্তির দিকে তাকান। কদিন আগেই সে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগা জিতেছে। আর এখন সে ব্রাজিলের কোচ।’