লিনেকার-কাণ্ডে ক্ষমা চাইল বিবিসি

ইংলিশ কিংবদন্তি গ্যারি লিনেকারছবি: এএফপি

গ্যারি লিনেকার ইস্যুতে ছোটখাটো একটা ঝড়ই যেন বয়ে গেল ইংলিশ ফুটবলে। শুরুটা হয়েছিল বিবিসির ‘ম্যাচ অব দ্য ডে’র উপস্থাপক লিনেকারের একটি টুইটকে কেন্দ্র করে, যার জেরে বিবিসিতে নিষিদ্ধ হন এই ইংলিশ কিংবদন্তি। এ ঘটনার প্রতিবাদে মুহূর্তের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইংলিশ ফুটবল। বিবিসির অনুষ্ঠান থেকে সরে দাঁড়ান ইয়ান রাইট ও অ্যালেন শিয়ারারের মতো ফুটবল–বিশ্লেষকেরা।

এমনকি পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন পিএফএ জানায়, ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়েরা বিবিসিকে কোনো সাক্ষাৎকার দেবেন না, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে ‘ম্যাচ অব দ্য ডে’ প্রোগ্রামেও। একের পর এক উপস্থাপক ও বিশ্লেষক অনুষ্ঠান চালিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় শেষ পর্যন্ত খেলার ভিডিও ফুটেজ দিয়ে অনুষ্ঠানটি চালাতে হয় এবং অনুষ্ঠানের সময়সীমাও নেমে আসে ২০ মিনিটে।

আরও পড়ুন

এ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এদিন ধারাভাষ্যের কার্যক্রমও বন্ধ রাখতে হয় প্রতিষ্ঠানটিকে। এ পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে হলো বিবিসির ডিরেক্টর জেনারেল টিম ডাভিকে। পাশাপাশি স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে কাজ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

দিনটি বিবিসির জন্য ‘কঠিন’ ছিল উল্লেখ করে ডাভি বলেছেন, ‘আমি দুঃখিত যে দর্শকেরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন এবং তাঁরা অনুষ্ঠানটি দেখতে পারেননি। একজন মনোযোগী ক্রীড়া অনুরাগী হিসেবে আমি বুঝতে পারি যে প্রোগ্রাম মিস করাটা বড় ধাক্কা। আমি এ জন্য দুঃখিত। আমরা সমস্যা সমাধানের জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

লিনেকারকে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে জানিয়ে ডাভি যোগ করেন, ‘সবাই শান্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। গ্যারি লিনেকার যে এ কাজের জন্য সেরা ব্যক্তি, তা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।’


লিনেকারের যে টুইট নিয়ে এত তোলপাড়, সেখানে তিনি মূলত সরকারের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেছিলেন। টুইটে লিনেকার লিখেছেন, ‘সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য এটি একটি নিষ্ঠুর নীতি, যা ত্রিশের দশকের জার্মানির চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়।’
শনিবার সন্ধ্যায় এ বিষয় নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও।

আরও পড়ুন

লিনেকারকে ‘মেধাবী উপস্থাপক’ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাকে সেটাই করতে হয়, যা আমার ঠিক মনে হয়। সবাই যে এর সঙ্গে একমত হবে না, সে বিষয়কেও আমি সম্মান করি। গ্যারি লিনেকার একজন দুর্দান্ত ফুটবলার ও মেধাবী উপস্থাপক। আমি আশা করি, লিনেকার এবং বিসিবির মাঝে উদ্ভূত পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। এটা তাদের মধ্যকার ব্যাপার, সরকারের নয়।’