রিয়ালের প্রতি রেফারিদের পক্ষপাত স্বাভাবিক বিষয় হয়ে গেছে

রিয়ালের প্রতি রেফারিদের পক্ষপাতের অভিযোগ আতলেতিকোরছবি: রয়টার্স

এই তো বৃহস্পতিবারের কথা। মাদ্রিদ ডার্বিতে রিয়ালের কাছে ৩-১ গোলে হেরে গেছে আতলেতিকো। কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনালের এ হার যে তারা সহজে মেনে নিতে পারেনি, এটা স্পষ্ট হয়েছে দলটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জিল মারিনের কথায়। ম্যাচের তিন দিন কেটে যাওয়ার পরও হারের ক্ষতটা শুকাচ্ছে না আতলেতিকো পরিবারের!

কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচের মোরাতার ১৯ মিনিটের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আতলেতিকো। এরপর ৭৯ মিনিট পর্যন্ত রিয়ালকে আটকে রেখেছিল তারা। কিন্তু বদলি হিসেবে নামা ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রদ্রিগোর অসাধারণ এক গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। এরপর অতিরিক্ত সময়ে করিম বেনজেমা ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ২ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্পেনের সবচেয়ে সফল দলটি।

আরও পড়ুন

ম্যাচে আতলেতিকো যে খুব ভালো খেলেছিল, সেটাও বলা যাচ্ছে না। এরপরও কেন তারা হার মেনে নিতে পারছে না? মারিনের ক্ষোভ রেফারিং নিয়ে। তাঁর দাবি, রিয়ালের মিডফিল্ডার দানি সেবায়োসের এ ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখা উচিত ছিল। রেফারি ইচ্ছা করেই তাঁকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখাননি।

সেদিন রিয়ালের শুরুর একাদশে ছিলেন না সেবায়োস। ৪৪ মিনিটে ফারলাঁ মেন্দি চোট পেলে তাঁর বদলি হিসেবে মাঠে নামেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। ৬৯ মিনিটে হলুদ কার্ডও দেখেন তিনি। এর ২ মিনিট পরই আতলেতিকোর টমাস লেমারকে কড়া ট্যাকল করেন সেবায়োস। রেফারি ফাউল দিলেও তাঁকে হলুদ কার্ড দেখাননি। এটা নিয়েই ক্ষোভ আতলেতিকোর।

কোপা দেল রেতে রিয়ালের কাছে হারে আতলেতিকো
ছবি: রয়টার্স

ম্যাচ শেষেই আতলেতিকোর গোলকিপার ইয়ান ওবলাক বলেছিলেন, তারা ১০ জনের দল হয়ে যেতে পারত। আর এখন প্রধান নির্বাহী কর্মকতা মারিন বলছেন, এটা নতুন কিছু নয় যে রেফারি সব সময়ই রিয়ালের পক্ষ নেয়!

মারিন তাঁর কথার শুরুটা করেছেন এভাবে, ‘রেফারিদের প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা। আমি এ–ও মনে করি যে সব সময়ই তাঁদের থাকে সেরাটা দেওয়ার। কিন্তু বাইরে থেকে কেউ যদি লক্ষ করেন, দেখবেন, দশকের পর দশক ধরে ব্যাপারটা একই রকম আছে।’

আরও পড়ুন

মারিন বলে চলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন আর এটা কোনো বিস্ময় নয়। এটা এখন আর কোনো খবরও নয়। এটা এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। এটা বোঝার জন্য আপনাকে শুধু ইতিহাসটা মনে করতে হবে।’

রেফারিরা কেন রিয়ালের পক্ষপাত করে, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মারিন, ‘মাদ্রিদের শক্ত একটা আবহ তৈরি করেছে। তারা তীব্র চাপ তৈরি করে এবং এ কারণেই যারা সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের ওপর প্রভাব পড়ে। কোনো সিদ্ধান্তে তারা (রিয়াল) ক্ষতির সম্মুখীন হলে কী হতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকে সবাই।’