চেলসির নতুন কোচ পচেত্তিনো

মরিসিও পচেত্তিনোছবি: এএফপি

কিছু একটা করতেই হতো চেলসিকে। সেই কিছু একটা করার পথে প্রথম এবং সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটা সবার আগে সম্পন্ন করল ইংলিশ ক্লাবটি। নতুন কোচ নিয়োগ দিয়েছে ক্লাবটি আর সেই কোচ প্রত্যাশিত ব্যক্তিই, চেলসি গত এপ্রিলেই যাঁর সঙ্গে মৌখিকভাবে কথা সেরে রেখেছিল—মরিসিও পচেত্তিনো।

আরও পড়ুন

মার্কিন ধনকুবের টড বোয়েলি চেলসির মালিকানায় আসার পর এই মৌসুমে এর আগে তিনবার কোচ পাল্টেছে চেলসি। গত সেপ্টেম্বরে ছাঁটাই করা হয় টমাস টুখেলকে। এরপর গ্রাহাম পটারকে দায়িত্ব দিয়ে তাঁকেও ছাঁটাই করা হয় মাত্র সাত মাসের মাথায়। ক্লাবের কিংবদন্তি ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডকে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে ফেরানো হয়। কিন্তু টুখেল ও পটারের মতো ল্যাম্পার্ডও চেলসিকে পথে ফেরাতে পারেননি।

কাল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এ মৌসুমে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউক্যাসলের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ১২তম স্থান নিশ্চিত করে লন্ডনের ক্লাবটি। নতুন খেলোয়াড় দলে টানতে ৫৫ কোটি পাউন্ড খরচ করলেও গত ২৫ বছরের মধ্যে লিগে এটাই চেলসির সবচেয়ে বাজে অবস্থান। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আর্জেন্টাইন কোচ পচেত্তিনোর সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছে চেলসি। আরও এক বছর চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ রেখে আগামী ১ জুলাই থেকে স্টামফোর্ড ব্রিজে কাজে নেমে পড়বেন পচেত্তিনো।

গত বছর জুলাইয়ে পিএসজি থেকে ছাঁটাই হওয়ার পর থেকে বেকার বসেছিলেন ৫১ বছর বয়সী পচেত্তিনো। চেলসির দায়িত্ব নেওয়ার মধ্য দিয়ে চার বছর পর ফিরবেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে।

আরও পড়ুন

এর আগে সাউদাম্পটন ও টটেনহাম হটস্পারের (২০১৪-২০১৯) কোচের দায়িত্বে ছিলেন পচেত্তিনো। চেলসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পচেত্তিনো ছিলেন ক্লাবের প্রথম পছন্দ এবং একমাত্র কোচ হিসেবে কথা বলার জন্য তাঁকে স্টামফোর্ড ব্রিজে নিয়ে আসা হয়েছে। চেলসির দুই সহ-মালিক টড বোয়েলি ও বেহদাদ একবালি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মরিসিও বিশ্বমানের কোচ এবং তার অতীত রেকর্ডও খুব ভালো। আমরা তাকে পেতে মুখিয়ে আছি।’

ইউলিয়ান নাগলসমান ও লুইস এনরিকেও চেলসির পছন্দের তালিকায় ছিলেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত এপ্রিলে চেলসির দায়িত্ব নিতে মৌখিক সম্মতি দিয়ে রেখেছিলেন পচেত্তিনো। অপেক্ষা ছিল মৌসুম শেষ হওয়ার।

গত পাঁচ বছরের মধ্যে ষষ্ঠ কোচ হিসেবে চেলসির দায়িত্ব নেবেন পচেত্তিনো, হিসাবটা অন্তর্বর্তীকালীন কোচদের বাদ দিয়েই করা। ক্লাবটিকে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ফেরাতে কী করতে হবে, তা ভালোই জানা থাকার কথা এই কোচের। টটেনহামে পাঁচ বছর থাকতে প্রতিবারই দলকে শীর্ষ চারে রেখে মৌসুম শেষ করেছিলেন পচেত্তিনো।

আরও পড়ুন