২৩ বছরে টানা ২৭ ফাইনাল জয়ের পর ধারাটা অবশেষে ভাঙল

কনফারেন্স লিগ ফাইনালে বেতিসের হারে হতাশ ক্লাবটির এক সমর্থক। ছবিটি পরশু তোলাএএফপি

পোল্যান্ডের ভ্রৎসওয়াফে পরশু রাতে উয়েফা কনফারেন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল বেতিসকে ৪–১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেলসি। মার্কিন ধনকুবের টড বোয়েলি মালিকানা কেনার পর এটিই ইংলিশ ক্লাবটির প্রথম ট্রফি

কনফারেন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নতুন ইতিহাসও গড়েছে চেলসি। পুরুষদের ফুটবলে প্রথম ক্লাব হিসেবে উয়েফার সব ক্লাব প্রতিযোগিতার শিরোপা জেতা হয়েছে গেছে তাদের।

আরও পড়ুন

চেলসির এই অনন্য কীর্তি অবিশ্বাস্য এক রেকর্ডেরও অবসান ঘটিয়েছে। ফাইনালে রিয়াল বেতিস হেরে যাওয়ায় ২০০২ সালের পর এবারই প্রথম স্পেনের কোনো দল বড় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে ব্যর্থ হলো।

ওই সময় থেকে পরশু রাতে চেলসি–বেতিস ফাইনালের আগপর্যন্ত শীর্ষ পর্যায়ে স্পেনের দলগুলো টানা ২৭ ফাইনাল জিতেছিল। আন্তোনি–ইসকোদের দল বেতিসের ব্যর্থতার কারণে ২৮ নম্বর ফাইনালে এসে গৌরবময় এই ধারায় ছেদ পড়ল।

শুরুটা হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদকে দিয়ে। স্প্যানিশ ক্লাব ফুটবলের সফলতম ক্লাবটি ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে লেভারকুসেনকে হারিয়েছিল। গত বছর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেই ধারাটা অব্যাহত রেখেছিল স্পেন।

বেতিসের কারণে ফাইনালে স্প্যানিশ দলের ১০০% সাফল্যের ধারা ভাঙার আগে দেশটির কোনো দল সর্বশেষ বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে হেরেছিল ২০০১ সালে। সেটিও দুবার ঘটেছিল।

সেই বছর ইউরোপা কাপের (বর্তমানে ইউরোপা লিগ) ফাইনালে লিভারপুলের কাছে ৫–৪ গোলে হেরে যায় আলাভেস। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ৪–৪ সমতায় শেষ হওয়ার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে আত্মঘাতী গোল করে বসে আলাভেস, সেটি ছিল ‘গোল্ডেন গোল’। অর্থাৎ, গোল হওয়ামাত্রই খেলা শেষ!

আরও পড়ুন

এর ঠিক এক সপ্তাহ পর চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় স্পেনের আরেক ক্লাব ভ্যালেন্সিয়া।

বেতিসের হারে ফাইনালে স্প্যানিশ ক্লাবগুলোর আধিপত্যের ধারায় ছেদ পড়েছে
এএফপি

২০০২ সাল থেকে এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত স্পেনের কোনো দলই ফাইনালে হারেনি, তা কিন্তু নয়। ২০১৩ সালে মারাকানায় ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ৩–০ গোলে উড়ে গিয়েছিল সেই সময়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন। ২০২১ সালে সেই স্পেনই উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে হেরে যায় ফ্রান্সের কাছে।

তবে কনফেডারেশন্স কাপ ও নেশনস লিগকে বড় টুর্নামেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। বড় টুর্নামেন্ট হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বিশ্বকাপ, ইউরো, চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরোপা লিগ এবং কনফারেন্স লিগকে।

আরও পড়ুন

এ সময়ে আরও চারবার স্প্যানিশ ক্লাব ফাইনালে হেরেছে। এস্পানিওল একবার, অ্যাথলেটিক বিলবাও একবার এবং আতলেতিকো মাদ্রিদ দুবার। কিন্তু ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ যে ছিল স্প্যানিশ ক্লাব! ‘অল স্প্যানিশ ফাইনালে’ কোনো না কোনো দলকে তো হারতেই হতো। তবে আরেক দল জিতে যাওয়ায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ধারাটা বজায় ছিল।