বিশ্বকাপে খেলা থাইল্যান্ডের কাছে এবার ৫-১ গোলে হার বাংলাদেশের মেয়েদের

বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন শামসুন্নাহার জুনিয়রবাফুফে

জুনে যে বাংলাদেশ দলকে দেখেছিলেন সমর্থকেরা, অক্টোবরে এসে সেই দলটাই যেন অচেনা হয়ে গেল! কিংবা হয়তো থাইল্যান্ডের মেয়েদের সঙ্গে বাংলাদেশের মেয়েদের পার্থ্যকের বাস্তব প্রতিফলনই এটা।

মিয়ানমারে এশিয়ান বাছাইয়ে একের পর এক জয় পাওয়া দলটা সর্বশেষ চার দিনের মধ্যে দুবার হেরেছে থাইল্যান্ডের কাছে। গত শুক্রবার ৩-০ গোলে হারার পর আজ প্রীতি ম্যাচে হার আরও বড়, ৫-১ গোলে।

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের পার্থক্য অনেক। ৫৩ নম্বরে থাকা থাইল্যান্ডের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে ৫১ ধাপ (১০৪)। শুধু র‍্যাঙ্কিং নয়, অভিজ্ঞতায়ও ব্যবধানটা স্পষ্ট।

মেয়েদের এশিয়ান কাপে এবার জায়গা না পেলেও ১৭ বার এই টুর্নামেন্ট খেলেছে থাইল্যান্ড, ১৯৮৩ সালে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে তারা। মেয়েদের বিশ্বকাপেও খেলেছে দুবার। বাংলাদেশের মেয়েরা এবারই প্রথমবারের মতো খেলবে এশিয়ান কাপে।

প্রত্যাশামতো খেলতে পারেননি ঋতুপর্ণা
বাফুফে

সেই থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাংককের অ্যানিভার্সারি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধটা মোটেই ভালো যায়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা গুছিয়ে খেললেও গোলমুখে তেমন কিছু করতে পারেনি আফঈদা খন্দকার-স্বপ্না রানীরা। শেষ পর্যন্ত ৫-১ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁদের। বাংলাদেশের একমাত্র গোলটি করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল থাইল্যান্ড। একের পর এক আক্রমণে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ভেঙে পড়ে বারবার। ১২ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। কোচ পিটার বাটলারের সাজানো হাইলাইন ডিফেন্স ভেদ করে গোল করেন থাই অধিনায়ক সাওয়ালাক পেংগাম। এর আগেই পঞ্চম মিনিটে একটি নিশ্চিত গোল ঠেকান গোলকিপার রুপনা চাকমা।

আরও পড়ুন

১৬ মিনিটে বাঁ দিক ধরে বল নিয়ে এগিয়ে যান ঋতুপর্ণা চাকমা, কিন্তু থাই রক্ষণের দেয়ালে আটকে যায় সেই প্রচেষ্টা। চার মিনিট পর ফ্রি-কিক পেলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ।

২৩ মিনিটে আবারও রক্ষণভাগের ভুলে দ্বিতীয় গোল হজম করে দল। মাঝমাঠ থেকে পাঠানো লম্বা বল রুপনার মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন জিরাপর্ন মংকোলডি। এক মিনিট পর একইভাবে আরেকটি আক্রমণ ঠেকান রুপনা।

মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণে রেখেও ম্যাচে দাপট ছড়াতে পারেনি বাংলাদেশ
বাফুফে

২৯ মিনিটে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশ। কর্নার থেকে মারিয়া মান্দার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র—৩৫ ডিগ্রি গরমেও তখন কিছুটা ঠান্ডা হাওয়া বইছে বাংলাদেশের গ্যালারিতে। কিন্তু সেই উচ্ছ্বাস স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। ৩৪ মিনিটে শামসুন্নাহার সিনিয়র ও আফঈদা খন্দকারের রক্ষণ ভেদ করে তৃতীয় গোল করেন ম্যাডিসন ক্যাস্টিন।

দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের মেয়েরা কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল, কিন্তু গোল বাড়াতে পারেনি। বরং থাইল্যান্ডই আরও দুবার জালে বল জড়ায়। ৫৪ মিনিটে ক্যাস্টিনের লং শটে আসে চতুর্থ গোল, আর ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পঞ্চম গোলটি করেন মংকোলডি।

আরও পড়ুন