প্রিমিয়ার লিগে ‘বাতিল’ ইউনাইটেড–টটেনহামই এখন ইউরোপে ফাইনালের পথে
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় এক দলের অবস্থান ১৪তম এবং অন্য দল ১৬তম। তালিকার শেষ তিন দল খুব বাজে ফুটবল না খেললে অবনমনের শঙ্কাতেও পড়তে পারত এই দুটি দল।
লিগে এত বাজে ফুটবল খেলা এই দুটি দলকে অবশ্য ইউরোপিয়ান মঞ্চে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন মেজাজে। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতা ইউরোপা লিগে ফাইনালের পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে তারা। ওহ দল দুটির নামই তো বলা হলো না—ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহাম হটস্পার্স।
প্রিমিয়ার লিগে ১৪তম ইউনাইটেড ইউরোপা লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে হারিয়েছে ৩–০ গোলে। ইংল্যান্ডেরই আরেক দল লিগ টেবিলে ১৬তম টটেনহাম ৩–১ গোলে হারিয়েছে নরওয়ের ক্লাব বোডো/গ্লিমটকে। ফাইনালে ওঠার পথে দুটি ইংলিশ ক্লাব বেশ এগিয়ে যাওয়ায় ২২ মে বিলবাওয়ের মাঠ সান মেমেসে ‘অল ইংল্যান্ড’ ফাইনাল দেখা যেতে পারে।
ফাইনালের মাঠ সান মেমেসেই গতকাল রাতে সেমিফাইনাল প্রথম লেগে বিলবাওয়ের মুখোমুখি হয়েছিল ইউনাইটেড। এদিন প্রথমার্ধেই অবশ্য ম্যাচ একরকম শেষ করে দেয় ইউনাইটেড। ৪৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় ৩–০ গোলে। শুরুটা করেন কাসেমিরো। ৩০ মিনিটে তাঁর গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। ৩৫ মিনিটে বক্সের ভেতর ইউনাইটেড স্ট্রাইকার রাসমুস হয়লুন্দকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন বিলবাওয়ের দানি ভিভিয়ান।
১০ জনে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি ব্রুনো ফার্নান্দেজের পেনাল্টি গোলে ২–০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বিলবাও। ৪৫ মিনিটে সেই ফার্নান্দেজই করেন ইউনাইটেডের তৃতীয় গোল। প্রথমার্ধেই ৩–০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বিলবাও। দ্বিতীয়ার্ধেও চেষ্টা করে আর ব্যবধান কমাতে পারেনি তারা। বড় হারেই ছাড়তে হয়েছে মাঠ। ৮ মে রাতে ইউনাইেডের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল।
বড় জয়ের পরও ফাইনাল নিয়ে এখনই নিশ্চিন্ত থাকতে চান না ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিম। ফাইনাল নিয়ে দলের খেলোয়াড়দের বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, তাদের এখন ফিরতি লেগ নিয়ে ভাবা উচিত। পুরো ম্যাচের চেয়ে তাদের এখন ভাবতে হবে ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিট নিয়ে। এখন অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নেই, ফলে যেকোনো কিছু হতে পারে।’
ঘরের মাঠে ৩–১ গোলের জয়ে নিজেদের ভালো অবস্থানে দেখছেন টটেনহাম কোচ পোস্তেকগ্লু। টটেনহাম কোচ বলেছেন, ‘আমার মতে খেলোয়াড়েরা দুর্দান্ত ছিল। আমাদের পারফরম্যান্স যেমনটা দরকার ছিল, তেমনই হয়েছে।’ এদিন ম্যাচের প্রথম মিনিটেই স্পার্সদের এগিয়ে দেন ব্রেসনান জনসন। পরে ৩৪ মিনিটে জেমস ম্যাডিসন এবং ৬১ মিনিটে গোল করেন ডমিনিক সোলাঙ্কি। আর শেষ দিকে এক গোল শোধ করে বোডোর উরিক সল্টনেস।