১৬তম সেমিফাইনালে নাইজেরিয়া, সঙ্গী কঙ্গো প্রজাতন্ত্র

নাইজোরিয়ার উদ্‌যাপনএএফপি

আফ্রিকান কাপ অব নেশনসে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে নাইজেরিয়া ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। গতকাল রাতে প্রথম সেমিফাইনালে নাইজেরিয়া ১–০ গোলে হারায় অ্যাঙ্গোলাকে। সেমিফাইনালে অন্য ম্যাচে গিনিকে ৩–১ গোলে হারিয়েছে কঙ্গো প্রজাতন্ত্র।

নাইজেরিয়ার জয়ে একমাত্র গোলটি এসেছে আদেমোলা লোকমানের কাছ থেকে। এর আগে শেষ ষোলোতে ক্যামেরুনের বিপক্ষে নাইজেরিয়ার ২–০ গোলের জয়েও জোড়া গোল করেছিলেন লোকমান। প্রথমার্ধের ৪১ মিনিটে দারুণ ফিনিশিংয়ে গোলটি করেন এই আটালান্টা ফরোয়ার্ড। এই এক গোলই শেষ পর্যন্ত নাইজেরিয়াকে পৌঁছে দিয়েছে সেমিফাইনালে।

আরও পড়ুন

ম্যাচে অবশ্য অ্যাঙ্গোলার সামনেও সুযোগ এসেছিল সমতা ফেরানোর। তবে নিজেদের ভুল এবং পোস্টের বাঁধায় শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দলটিকে। নাইজেরিয়ার রক্ষণকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে গোলপোস্ট অক্ষত রাখল দলটি।

তিনবারের চ্যাম্পিয়ন নাইজেরিয়াও অবশ্য জয়ের ব্যবধান বাড়াতে পারত। দ্বিতীয়ার্ধে বল জালে জড়িয়েছিলেন দলের পোস্টারবয় ও আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড় ভিক্টর ওসিমেন। তাঁর সেই গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। এরপরও জয় পেতে সমস্যা হয়নি দেশটির। এ নিয়ে ১৬তম বারের মতো আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের সেমির টিকিট কাটল নাইজেরিয়া। আর কোনো দল এত বেশিবার নেশনস কাপের সেমিফাইনালে ওঠেনি।

কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের সেমি নিশ্চিত করার আনন্দ
এএফপি

ম্যাচ শেষে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে নাইজেরিয়ান কোচ জোসে পেসেরিও বলেছেন, ‘আরও একটি ম্যাচে আমরা গোল কোনো হজম করিনি। পাশাপাশি আরও একবার আমরা মাত্র এক গোল দিতে পেরেছি। আমি চাই, দল আরও বেশি গোল করুক। ফিনিশিং ভালো হলে আমরা আরও এক বা দুটি গোল করতে পারতাম। তবে আমি আনন্দিত। এটা আমার খেলোয়াড়দের প্রাপ্য ছিল।’

বিদায় নিলেও অ্যাঙ্গোলা প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এবারই প্রথম নকআউট ম্যাচে জয় পেয়েছে। পরীক্ষা নিয়েছে নাইজেরিয়ারও। দলের কোচ পেদ্রো গঞ্জালভেস বলেছেন, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ করেছিলাম, যদি কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারি, তবে আমাদের টুর্নামেন্ট জেতার চেষ্টা করতে হবে। যেকোনো দল এমন আকাঙ্ক্ষা নিয়েই এত দূর আসে। আমরা স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি। কিন্তু আমাদের একই সঙ্গে বাস্তববাদী হতে হবে। বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা বেশ শক্তিশালী একটি দলের বিপক্ষে খেলেছি, যাদের খেলোয়াড়েরা সর্বোচ্চ স্তরের ফুটবল খেলে।’

আরও পড়ুন

আরেক ম্যাচে কঙ্গো প্রজাতন্ত্র বেশ দাপটেই জিতেছে। যদিও ম্যাচের ২০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলে লিড নেয় গিনি। তবে ৭ মিনিট পর ম্যাচে সমতা ফেরায় কঙ্গো।

এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে গোল করে প্রথমবারের মতো এগিয়েও যায় তারা। আর ৮২ মিনিটে দারুণ এক ফ্রি কিকে আর্থুর মাসুয়াকো করেন দলের তৃতীয় গোল। এ জয়ে ২০১৫ সালের পর প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালের টিকিট পেল কঙ্গো প্রজাতন্ত্র।

আরও পড়ুন

সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা কঙ্গোর অবশ্য এটিই প্রতিযোগিতার প্রথম জয়। এর আগে গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচে ড্র করে তারা। শেষ ষোলোতেও মিসরের বিপক্ষে ১–১ গোলে সমতায় থাকার পর টাইব্রেকারে গিয়ে ম্যাচ জেতে কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। দলের কোচ সেবাস্তিয়ান দেসাবরে বলেছেন, ‘আমরা দারুণ আনন্দিত। কারণ, আমরা এর আগে সব ম্যাচ ড্র করেছি। এখন আমরা ভালো সময়ে একটি জয় পেয়েছি।’