টটেনহাম ২–২ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
নির্ধারিত সময় শেষ। যোগ হওয়া সময়ের প্রথম মিনিটেই রিচার্লিসনের গোল! টটেনহাম স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার উল্লাস। মনে হচ্ছিল, আশা শেষ, এই ম্যাচে আর কিছু করতে পারবে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু সব হিসাব পাল্টে দিলেন মাথিয়াস ডি লিখট যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে। ৯৬ মিনিটে তাঁর দুর্দান্ত হেড গেল টটেনহামের জালে, ২-২ সমতার পর বাজল শেষ বাঁশি। নাটকীয় এক ড্রয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করল দুই দল।
উত্তর লন্ডনে আজ ইউরোপা লিগ ফাইনালের পুনর্মিলনীটা শেষ পর্যন্ত যে এমন রোমাঞ্চকর থ্রিলারে রূপ নেবে তা অবশ্য শুরুতে বোঝা যায়নি। ৩২তম মিনিটে ব্রায়ান এমবিউয়োমোর গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। বিরতির আগে ওই একটাই গোল। প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজতেই টটেনহামের গ্যালারিতে শোনা যায় অসন্তুষ্ট দর্শকের দুয়ো। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ঘরের মাঠে মাত্র তিনটি জয়, স্পার্স সমর্থকদের ধৈর্য যেন শেষ হয়ে যাচ্ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে ছবিটা পাল্টে দেন বদলি খেলোয়াড় মাথিস তেল। ৮৪ মিনিটে তাঁর গোলেই সমতায় ফেরে টটেনহাম।
এরপর যোগ হওয়া সময়ের প্রথম মিনিটেই রিচার্লিসন দারুণ ফর্মে থাকা উইলসন ওদোবেরের শটে পা লাগিয়ে দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। কিন্তু শেষ বাঁশির আগেই আবারও বাঁক নিল ম্যাচের গল্প। যোগ হওয়া সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে গোল করেন ডি লিখট। যেন ইউনাইটেডের সেই চিরাচরিত 'ফার্গি টাইম'-এর গোল! আর তাতেই আমোরিমের অধীনে ইউনাইটেডের অপরাজিত ধারা বাড়ে টানা পাঁচ ম্যাচে।
এ ড্রয়ের পর ১১ ম্যাচ থেকে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত লিগ টেবিলে সাত নম্বরে ইউনাইটেড। ম্যাচ ও পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে আপাতত তিন নম্বরে টটেনহাম। তবে আজ ও আগামীকাল লিগের অন্য ম্যাচগুলোর পর পাল্টে যেতে পারে দুই দলের অবস্থান।