একসঙ্গে খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস গড়লেন বাবা–ছেলে

সুহাইল সাত্তার এবং তাঁর ছেলে ইয়াহিয়া (বাঁয়ে)অভিরাম সিং যাদব

সুহাইল সাত্তারের বয়স ৫০ বছর। তাঁর ছেলে ইয়াহিয়ার বয়স মাত্র ১৭। বাবা–ছেলে দুজন মিলে ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার লিখেছেন ইতিহাস। সেই দিনই তাঁরা হয়ে যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম একসঙ্গে খেলা বাবা–ছেলে জুটি।

ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিমুর–লেস্তের হয়ে মাঠে নামেন তাঁরা। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার ছোট এ দেশটি এ বছরই আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ পেয়েছে। তাই ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ফলাফলটা সুখকর নয়—তিমুর–লেস্তে হেরেছে ১০ উইকেটে। কিন্তু ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন সুহাইল ও ইয়াহিয়া। ভবিষ্যতে হয়তো আরও বাবা–ছেলেকে এক দলে খেলতে দেখা যাবে, তবে ‘প্রথম’ হয়ে থাকার সৌভাগ্য তো একবারই আসে।

আরও পড়ুন

তবে শুধু পুরুষ ক্রিকেট নয়, মেয়েদের ক্রিকেটেও আগেই এমন এক নজির গড়েছেন মা–মেয়ে। সুইজারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের ৪৫ বছর বয়সী মেট্টি ফার্নান্দেজ ও তাঁর ১৭ বছর বয়সী মেয়ে নায়না মেট্টি সাজু এ বছরের শুরুতে খেলেছেন একসঙ্গে ছয়টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ।

বাবা–ছেলে একসঙ্গে কিংবা একে অপরের বিপক্ষে খেলার নজির অবশ্য আগেও দেখা গেছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। কিংবদন্তি শিবনারায়ণ চন্দরপল ও তাঁর ছেলে তেজনারায়ণ চন্দরপল গায়ানার হয়ে খেলেছেন ১১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। ২০১৪ সালে উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডসের বিপক্ষে এক ম্যাচে অধিনায়ক বাবার অধীনে খেলেছিলেন ২৯ বছর বয়সী তেজনারায়ণ।

গত জুলাইয়ে আফগানিস্তানের শপাগিজা ক্রিকেট লিগের ফাইনালে আবার মুখোমুখি হন এক বাবা ও ছেলে—সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ও তাঁর ছেলে হাসান ইশাখিল। নবীর দল আইনাক নাইটসকে ৮ উইকেটে হারানোর পথে আমো শার্কসের হয়ে ৩৪ বলে ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন হাসান।

গত বৃহস্পতিবার বালিতে অনুষ্ঠিত সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬১ রানে গুটিয়ে যায় তিমুর–লেস্তে। ম্যাচে সুহাইল ও ইয়াহিয়া কিছুক্ষণ একসঙ্গে ব্যাটও করেছেন। ইন্দোনেশিয়া মাত্র চার ওভারেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে।

পরে একই সিরিজে আরও দুটি ম্যাচ খেলেও একই ব্যবধানে হেরেছে তিমুর-লেস্তে। মানে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচেই ১০ উইকেটে হারতে হয়েছে তাদের।

আরও পড়ুন