সৌদি আরব ২০৩০ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের যৌথ আয়োজক দেশ হতে চায়। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও যোগ দিয়েছেন সৌদি ক্লাব আল নাসরে। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, আল নাসরের সঙ্গে চুক্তির অর্থের বাইরেও পর্তুগিজ তারকা নাকি বাড়তি ২০ কোটি ডলার আয় করবেন সৌদি আরবের বিশ্বকাপ আয়োজনের শুভেচ্ছাদূত হয়ে।
আল নাসর এক টুইটে সোজাসাপটা জানিয়ে দিয়েছে, তাদের চুক্তির সঙ্গে বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। পর্তুগিজ তারকা সৌদি আরবে এসেছেন আল নাসরকে সাফল্য এনে দিতে। এটাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
২০২৫ সাল পর্যন্ত আল নাসরে চুক্তি করা রোনালদোর বাৎসরিক আয় হবে ২০ কোটি ডলার। অর্থাৎ দুই বছরে রোনালদোর আয় হবে ৪০ কোটি ডলার। যেটি ক্রীড়া ইতিহাসে যেকোনো ক্রীড়াবিদের জন্য সর্বোচ্চ। এই রোজগারে অন্তর্ভুক্ত আছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাপারও। তবে সৌদি আরবের বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রচারসংক্রান্ত দূত হওয়ার সঙ্গে আল নাসর ক্লাবের কোনো সম্পর্ক নেই বলেই জানা গেছে। আল নাসরই টুইটারে এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে।
‘সংবাদপত্রে রোনালদো-সংক্রান্ত একটা সংবাদ আল নাসরের নজরে এসেছে। আমরা এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে চাই। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানাতে চাই, রোনালদোর বিশ্বকাপের দূত হওয়ার সঙ্গে আল নাসরের চুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই। রোনালদোর লক্ষ্য হচ্ছে আল নাসর ক্লাব। তিনি সতীর্থদের নিয়ে আল নাসরকে সাফল্য এনে দেওয়ার লক্ষ্যে খেলবেন’—আল নাসরের টুইট।
আল নাসরে যোগ দিলেও রোনালদো এখনো মাঠে নামার সুযোগ পাননি। গত এপ্রিলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের একটি ম্যাচ ভক্তের মুঠোফোন ভেঙে ফেলার দায়ে তাঁকে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। সেই নিষেধাজ্ঞা সৌদি আরবে এসেও তাড়া করছে তাঁকে।
তবে সৌদি ফুটবলে রোনালদোর অভিষেকটা হবে একটু অন্যভাবে। এ মাসেই সৌদি আরব সফরে আসছে পিএসজি। আল নাসরের কোচ দুই দিন আগে জানিয়েছেন, আল নাসর নয়, সৌদি আরবের দুই শীর্ষ ক্লাব আল হিলাল ও আল নাসরের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া একটি সম্মিলিত একাদশের হয়ে পিএসজির বিপক্ষে অভিষেক হবে তাঁর। সে ম্যাচে রোনালদোর প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলবেন লিওনেল মেসি।