১০ বছর ধরে চলা মামলা থেকে অবশেষে মুক্তি ব্ল্যাটার-প্লাতিনির
আজ বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল প্রসিকিউটররা (রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা) মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তির ঘোষণা দিয়েছেন।
দীর্ঘ ১০ বছরে ধরে চলা তদন্ত ও দুই দফা বিচার শেষে খালাস পাওয়ার পর মামলা থেকেও রেহাই পেলেন ফিফার সাবেক সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার ও উয়েফা সাবেক সভাপতি মিশেল প্লাতিনি। আজ বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল প্রসিকিউটররা (রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা) মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তির ঘোষণা দিয়েছেন।
সুইজারল্যান্ডের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, আপিল কোর্টের রায় ব্ল্যাটার ও প্লাতিনির পক্ষে যাওয়ায় তাঁরা নতুন করে এ মামলা পর্যালোচনার জন্য আবেদন করবেন না। প্রসিকিউটররা বলেছেন, ‘আপিল কোর্টের রায় মেনে নেওয়ার মধ্য দিয়ে ফুটবলের জটিল প্রক্রিয়ার আরেকটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল।’
বিশ্ব ও ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার একসময়ের শীর্ষ পদধারী দুই ব্যক্তি ব্ল্যাটার ও প্লাতিনির বিচারকাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অব্যবস্থাপনা ও ২০ লাখ সুইস ফ্রাঁ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল তদন্তকারীরা আন্তর্জাতিক ফুটবল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক তদন্ত শুরু করলে ফিফার কোষাগার থেকে প্লাতিনিকে অর্থ প্রদানের বিষয়টি সামনে আসে। আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, ২০১১ সালে ব্ল্যাটার-প্লাতিনি যোগসাজশ করে ফিফা থেকে ২০ লাখ সুইস ফ্রাঁ হাতিয়ে নিয়েছিলেন। সেই টাকা পেয়েছিলেন প্লাতিনি।
তবে ব্ল্যাটার ও প্লাতিনির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু এ ঘটনা তখন আলোড়ন সৃষ্টি করলে ব্ল্যাটারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এবং তিনি ফিফা সভাপতির পদ ছেড়ে দেন।
ফ্রান্সের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি মিডফিল্ডার প্লাতিনির ভাবমূর্তিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ব্ল্যাটারের পর ফিফা সভাপতি হওয়ার যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, সেটি ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
২০১৬ সালের নির্বাচনে জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ফিফার ও আলেক্সান্দার সেফেরিন উয়েফার সভাপতি নির্বাচিত হন।