ডি ব্রুইনা-সিটির পুনর্মিলনীতে হলান্ডের দ্রুততম ‘ফিফটি’

হেডে গোলটি করেন হলান্ডউয়েফা

ম্যানচেস্টার সিটি ২-০ নাপোলি

ইতিহাদ ছেড়ে গিয়েছিলেন গত জুনে। তারপর এবারই তাঁর প্রথম ফেরা বড় সাধের এই স্টেডিয়ামে। ম্যানচেস্টার সিটির দর্শকেরা তাঁকে নায়কের মর্যাদায় বরণও করে নিলেও কোথায় যেন একটা অতৃপ্তি থেকে গেল। কেভিন ডি ব্রুইনা এখন হতে পারেন প্রতিপক্ষ, তবু ম্যাচের মাত্র ২৬ মিনিটে তাঁর বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় সিটির দু-একজন সমর্থকের মুখটা শুকনা দেখা গেল। ক্লাব কিংবদন্তিকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁরা সম্মান দেখিয়েছেন, তবে মাঠে আরও কিছুক্ষণ দেখতে চেয়েছিলেন নিশ্চয়ই!

কৌশলগত কারণে মাঠ ছাড়তে হয় ডি ব্রুইনাকে। নাপোলি কোচ আন্তোনিও কন্তে অবশ্য তাতে হার এড়াতে পারেননি। বিরতির পর আর্লিং হলান্ড ও জেরেমি ডকুর গোল হজম করতে হয়। সিটির ২-০ গোলের এ জয়ে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েন হলান্ড।

৫৬ মিনিটে তাঁর গোলটির উৎস সিটি মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন। লব করে দারুণভাবে বলটা তুলে সামনে বাড়িয়ে দেন, হেডে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৫০তম গোল তুলে নেন হলান্ড। সেটা আবার এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম। ৪৯ ম্যাচে ‘ফিফটি’ পাওয়া হলান্ড পেছনে ফেললেন রুদ ফন নিস্টলরয়কে (৬২ ম্যাচ)।

ডকুর গোলটি ছিল দেখার মতো। ৬৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে গোল করার পথে নাপোলির তিন খেলোয়াড় মিলেও তাঁকে থামাতে পারেননি। সিটির এই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া আসলে একটি সুবিধার ফল। ২১ মিনিটে বক্সে হলান্ডকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন নাপোলি অধিনায়ক ও রাইট ব্যাক জিওভান্নি ডি লরেঞ্জো। এরপর ১০ জনে পরিণত হওয়া ইতালিয়ান ক্লাবটির ওপর চেপে বসে সিটির আক্রমণভাগ।

গোল করলেন জেরেমি ডকু
উয়েফা

নাপোলি কোচ কন্তে বিপদ টের পেয়ে ১০ জনে পরিণত হওয়ার পাঁচ মিনিট পরই মিডফিল্ডার ডি ব্রুইনাকে বদলি করে ডিফেন্ডার মাথিয়াস অলিভেরাকে নামান। তাতে অবশ্য কন্তের রক্ষণভাগ গোল ঠেকাতে পারেনি। বরং প্রথমার্ধেই কয়েক গোলে এগিয়ে যেতে পারত পেপ গার্দিওলার আক্রমণভাগ। নাপোলি গোলকিপার ভাঞ্জা মিলিনকোভিচ-সাভিচ অন্তত চারটি দুর্দান্ত সেভ করেন। তিজানি রেইন্ডার্স ও ফোডেনের নিচু শট এবং রদ্রির ভলি ঠেকান এই স্প্যানিশ গোলকিপার।

আরও পড়ুন

ক্লাব ব্রুগা ৪-১ মোনাকো

ঘরের মাঠে ম্যাচের ৩২ থেকে ৪২, এই ১১ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে ব্রুগা। বিরতির পর ৭৫ মিনিটে পায় আরও এক গোল। মোনাকো এরপর আর ম্যাচে টিকে থাকে কীভাবে! যোগ করা সময়ে আনসু ফাতির গোলটি তাদের জন্য সান্ত্বনাসূচক। বেলজিয়ান ক্লাবটি যে ম্যাচের ৭৫ মিনিটের মধ্যেই চার গোল করেছে!

কোপেনহেগেন ২-২ লেভারকুসেন

নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল লেভারকুসেন। যোগ করা সময়ে কোপেনহেগেন সেন্টার ব্যাক প্যানতেলিস চ্যাটজিদাইকোসের আত্মঘাতী গোলে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে সমতায় ফিরে পয়েন্ট পেয়েছে জার্মান ক্লাবটি।

৯ মিনিটে লারসনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল কোপেনহেগেন। অ্যালেক্স গ্রিমালদোর কল্যাণে লেভারকুসেন এই গোল পরিশোধ করেছে ম্যাচের ৮২ মিনিটে গিয়ে। ২৫ গজ দূরত্ব থেকে ফ্রি কিকে দারুণ গোল করেন গ্রিমালদো। কিন্তু চার মিনিট পরই ডেনিশ ক্লাবটির ফরোয়ার্ড রবার্ট সিলভার গোলে আবারও পিছিয়ে পড়তে হয় লেভারকুসেনকে। শেষ পর্যন্ত যদিও হার এড়িয়েছে জার্মান ক্লাবটি।