পেলের ব্র্যান্ড কিনল নেইমারের বাবার প্রতিষ্ঠান
নেইমারের বাবার মালিকানাধীন এনআর স্পোর্টস নামের কোম্পানি দীর্ঘ দর-কষাকষির পর ১৮ মিলিয়ন ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২০ কোটি ২৫ লাখ টাকা) কিনে নিয়েছে কিংবদন্তি পেলের ব্র্যান্ড। এর আগে ব্র্যান্ডটি ছিল ‘স্পোর্টস ১০’ নামে একটি আমেরিকান এজেন্সির কাছে।
ব্র্যান্ড হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আগামীকাল বুধবার সান্তোসের পেলে জাদুঘরে দেওয়া হবে। এই দিনটি পেলের এক হাজারতম গোলের বার্ষিকীও বটে। ফুটবলের রাজা খ্যাত পেলে ঐতিহাসিক গোলটি করেছিলেন ৫৬ বছর আগে ভাস্কো ও সান্তোসের মধ্যেকার একটি ম্যাচে।
পেলে ব্র্যান্ডটি সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের ছবি, নাম, পণ্যের লাইসেন্স, ঐতিহাসিক আর্কাইভ এবং অন্যান্য সম্পদ ব্যবহারের অধিকার অন্তর্ভুক্ত করে। তবে নতুন অংশীদারত্বের জন্য কোনো কৌশলগত পরিকল্পনা করা হয়েছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।
নেইমারের বাবার এই ব্র্যান্ড কিনতে আগ্রহী হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো পেলের ছবির সীমিত ব্যবহার। এনআর স্পোর্টসের ধারণা, পেলের ব্র্যান্ড ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ সালে তাঁর মৃত্যুর পর থেকে যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়নি।
এদিকে নেইমারের বাবার কোম্পানি এরই মধ্যে ভিলা বেলমিরোতে পেলের ব্যবহৃত ভিআইপি বক্সটি পুনর্নির্মাণ করেছে, যা এখন তাঁর পরিবারের জন্য ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি নেইমার সান্তোসে যোগ দেওয়ার পর থেকে এনআর স্পোর্টস নেইমারকে ‘প্রিন্স’ বলেও সম্বোধন করতে শুরু করেছে, যা ক্লাবের সর্বকালের সেরা তারকা পেলের ‘কিং’ খেতাবকে ইঙ্গিত করেই দেওয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে যে, ব্র্যান্ডটি নেইমারের হাতে থাকলে পেলেকে সান্তোস থেকে আলাদা না করেই ক্লাবটি পেলের ব্র্যান্ডকে আরও সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করতে পারবে। যদিও ক্লাবের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
তবে পেলের মৃত্যুর পর ব্র্যান্ডটিকে সক্রিয় রাখার জন্য একটি সুদৃঢ় ব্যবসায়িক পরিকল্পনাও প্রয়োজন। এই পরিকল্পনায় নেইমার নিজেও যুক্ত আছেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি পুরো প্রক্রিয়াটিতেও পেলের পরিবার সম্পৃক্ত রয়েছে।
অনেকে অবশ্য পেলের ব্র্যান্ডের দাম নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। খবরটি যারা প্রথম সামনে আনে, সেই ইউওএল—এর কলামিস্ট মিলটন নেভেস লিখেছেন, ‘খেলাধুলার ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদের ব্র্যান্ডের বাজারমূল্য এত কম কেন, তা বোঝা সত্যিই কঠিন। কিন্তু বাস্তবতা এমনই, বিশেষ করে ব্রাজিলে। যেখানে পেলের মূল্য সব সময়ই তার প্রাপ্যের চেয়ে কম ধরা হয়েছে, আর অনেকে তাদের প্রকৃত অবদান বা পারফরম্যান্সের তুলনায় বেশি মূল্য পেয়েছে।’