কোথাও জায়গা হচ্ছে না বাংলাদেশের ১০ নম্বরের

রবিউল হাসান।ফাইল ছবি

শেষ পর্যন্ত মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেডেও জায়গা হলো না রবিউল হাসানের। বলা ভালো, পথ হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় এই ফুটবলারকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে মোহামেডান। আজই রবিউল ক্লাব ছেড়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মোহামেডানের কর্তারা।

আরও পড়ুন

২০১৯ সালে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে রবিউলকে দলে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। চলতি মৌসুমের ফেডারেশন কাপসহ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বের একটি ম্যাচেও মাঠে নামতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে শৃঙ্খলার অভাব প্রভাব ফেলেছিল মাঠের পারফরম্যান্সে। অনুশীলনেও ছিলেন অনিয়মিত। মধ্যবর্তী দলবদলে বসুন্ধরা থেকে ধারে রবিউলকে দলে ভেড়ায় মোহামেডান। কিন্তু সেখানেও সেই অনিয়ন্ত্রিত জীবন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে মোহামেডান।

লাওসের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রাক–বাছাইয়ে বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়েছিলেন রবিউল ইসলাম (জার্সি নম্বর ২৪)।
ফাইল ছবি

রবিউল সম্পর্কে ক্লাবের পরিচালক ও ফুটবল সম্পাদক আবু হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করেও রবিউলকে সঠিক রাস্তায় আনতে পারিনি। কোচ ওর ওপর খুবই বিরক্ত। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে এর আগে দুবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবু সে শোধরায়নি। গত ১৪ জুন আবারও সে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। পরবর্তী সময়ে আমরা তাকে বলি, তোমাকে আর আমাদের প্রয়োজন নেই। আজ সে ক্লাব ছেড়েছে।’

আরও পড়ুন

২০১৮ সালে আরামবাগের স্বাধীনতা কাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন রবিউল। পরের বছরই আরামবাগের অধিনায়কত্ব পান। ২০১৮-১৯ মৌসুমে হন প্রিমিয়ার লিগের সেরা উদীয়মান ফুটবলার। তাঁর গায়ে তুলে দেওয়া হয় জাতীয় দলের ১০ নম্বর জার্সি।
২০১৯ সালে তাঁর একমাত্র গোলেই লাওসকে হারিয়ে বিশ্বকাপের মূল বাছাইপর্বে নাম তোলে বাংলাদেশ। একই বছর নমপেনে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচেও রবিউলের একমাত্র গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ দল। রাস্তা হারিয়ে সেই রবিউল এখন ধুঁকছেন। জায়গা হারিয়েছেন জাতীয় দল থেকেও।