ব্যালন ডি’অর জিততে স্প্যানিশ ফেডারেশনের সভাপতিকে কলকাঠি নাড়তে বলেছিলেন রামোস

রামোস নেই ইউরোর দলে।ছবি : টুইটার

খবরটা চমকে দেওয়ার মতোই। ২০২০ সালে ব্যালন ডি’অর জিততে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসের সাহায্য চেয়েছিলেন সের্হিও রামোস। পিএসজি তারকা তখন রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল কনফিডেনশিয়াল এ নিয়ে দুজনের কথোপকথন ফাঁস করেছে।

রিয়ালের হয়ে চারবার চ্যাম্পিয়নস লিগ ও পাঁচবার লা লিগা জিতেছেন রামোস। সেভিয়া থেকে ২০০৫ সালে রিয়ালে যোগ দিয়ে ১৬ মৌসুম কাটিয়ে ২০২১ সালে পিএসজিতে যোগ দেন তিনি। ক্যারিয়ারে কখনো ব্যালন ডি’অর জিততে পারেননি রামোস। ২০২০ সালের ১৬ জুলাই থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে রামোস–রুবিয়ালেসের মধ্যে ফোনে কথোপকথন বার্তা প্রকাশ করেছে কনফিডেনশিয়াল। আরএফইএফ সভাপতিকে সেখানে রামোস অনুরোধ করেছিলেন, নিজের যোগাযোগক্ষমতা ব্যবহার করে ব্যালন ডি’অর জিততে তিনি যেন রামোসকে সহায়তা করেন।

আরও পড়ুন

ফাঁস হওয়া সেই বার্তায় রুবিয়ালেসের প্রতি রামোস বলেছেন, ‘রুবি, শুভ সন্ধ্যা। আশা করি তুমি ও তোমার পরিবার ভালো আছে। কখনো তোমার কাছে কিছু চাইনি। যদি আজ চাই, তার কারণ হলো, এ বছর পারফরম্যান্স বিচারে আমার জন্য বিশেষ কিছু। আমি চাই ব্যালন ডি’অর তুমি আমাকে সাহায্য করো, উয়েফায় নিজের যোগাযোগ ব্যবহার করে একটু কলকাঠি নাড়াও। তোমার কাছে আমি সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব। সেটা শুধু আমার জন্য নয়, স্প্যানিশ ফুটবলও এটা পাওয়ার যোগ্য বলে আমি মনে করি।’

২০২০ সালে ব্যালন ডি’অরই দেওয়া হয়নি
ছবি: এএফপি

স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) সভাপতি রামোসের এই অনুরোধের জবাব দেন, ‘কেমন আছ, সের্হিও? সবার আগে অভিনন্দন। আমার মনে হয় এটা (ব্যালন ডি’অর) জেতার মতোই বছর তোমার জন্য। তবে ব্যালন ডি’অরের কোনো কিছু তো আমার হাতে নেই। তবে যদি সাহায্য করার সুযোগ থাকে, তুমি তা পাবে এবং আমার ওপর ভরসা রাখতে পারো।’ রামোস এর জবাবে ফিরতি বার্তা পাঠান, ‘হ্যাঁ, এটায় তো তোমার কোনো ভূমিকা নেই। তবে সম্পর্ক কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। (ফিফা সভাপতি) ইনফান্তিনো “বেস্ট” পুরস্কার দিচ্ছে, এটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। যা–ই হোক, আমি তোমার ওপর ভরসা করে আছি।’

আরও পড়ুন

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালে ব্যালন ডি’অর দেওয়া হয়নি। সে বছর নিজের ভালো পারফরম্যান্স বলতে রামোস বুঝিয়েছেন, রিয়ালের হয়ে লা লিগা জয়। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চে লা লিগার সে মৌসুমের খেলা স্থগিত করা হয়েছিল। জুনে প্রতিযোগিতাটি মাঠে ফেরানো হয় এবং চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল। মৌসুমের শেষ ১১ ম্যাচে হারেনি মাদ্রিদের ক্লাবটি। রামোস সে বছর ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে থাকলেও রবার্ট লেভানডফস্কিকেই সম্ভাব্য বিজয়ী মনে করা হয়েছিল। বায়ার্ন মিউনিখ তারকা ইউরোপে সে মৌসুমে অন্য যে কারও চেয়ে বেশি গোল করেছিলেন এবং চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছিল তাঁর দল।