ভারতের মেয়ের বাংলাদেশের জার্সিপ্রেম

জীবনের উপহার বুঝে নিচ্ছেন সোনেলিয়াছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা সোনেলিয়া পলের। কিন্তু তাঁর হৃদয়জুড়ে থাকে বাংলাদেশ। সীমান্ত সে ভালোবাসায় একটা বাধা হলেও কল্পনায় বাংলাদেশে ঘুরে বেড়াতে তো আর পাসপোর্ট–ভিসা লাগে না।

সোনেলিয়ার দাদা–দাদির জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। দেশভাগের সময় ভারতে পাড়ি জমান তাঁরা। তাঁদের মুখে গল্প শুনে বাংলাদেশের প্রেমে পড়ে যাওয়া। সেই প্রেম থেকে বাংলাদেশের জার্সির প্রতি আবেগ। সে জার্সি সংগ্রহের আশাটা পূরণ করেছেন জাতীয় ফুটবল দলের স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ।

এটিকে মোহনবাগানের বিপক্ষে এএফসি কাপের প্লে–অফের ম্যাচ খেলতে আজ কলকাতায় পৌঁছেছে আবাহনী লিমিটেড। দলটির অধিনায়ক নাবিব যাওয়ার সময় নিয়ে গিয়েছেন জাতীয় দলের একটি জার্সি। টিম হোটেলে পৌঁছেই সোনেলিয়ার হাতে তুলে দিয়েছেন সেটি।

সোনেলিয়ার আরও বড় একটি পরিচয় আছে। ভারত জাতীয় দলের ডিফেন্ডার ও মোহনবাগানের অধিনায়ক প্রীতম কোটালের হবু স্ত্রী। প্রীতমের মাধ্যমেই নাবিবের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। সোনেলিয়াকে অবশ্য এখন আর বন্ধুর হবু স্ত্রী হিসেবে নয়, বোন হিসেবেই মানেন নাবিব

কলকাতা থেকে সোনেলিয়া বলছিলেন, ‘দাদা– দাদির মুখে গল্প শুনে বাংলাদেশের প্রতি আমার আবেগ ও ভালোবাসা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের জার্সি আমার খুব প্রিয়। তাই জীবন (নাবিব) ভাইকে বলেছিলাম আমার জন্য বাংলাদেশের একটা জার্সি আনতে। সেটা আজ পাওয়া খুব আনন্দ হচ্ছে।’

আগামী মঙ্গলবার কলকাতার সল্টলেকে মুখোমুখি হবে আবাহনী ও মোহনবাগান। এ ম্যাচের জয়ী দল পাবে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের টিকিট। বাঁচা–মরার ম্যাচে দুই দলের নেতৃত্বে থাকবেন নাবিব ও প্রীতম। মাঠের বাইরে দুই বাংলার দুই ফুটবলারের সম্পর্কটা মধুর।

গত বছর এপ্রিলে নাবিব কলকাতায় পায়ের অস্ত্রোপচার করাতে গেলে তাঁকে হাসপাতালে নানাভাবে সহায়তা করেন প্রীতম। তাঁর হবু স্ত্রী সোনেলিয়াও ছিলেন নাবিবের হাসপাতালের দিনগুলোর সঙ্গী। এবার খেলার সৌজন্যে মাঠে দেখা হবে নাবিব ও প্রীতমের।

আজ প্রীতম বলছিলেন নাবীব ও তাঁর সম্পর্কটা এখন দাদা–ভাইয়ের। আজ প্রথম আলো ছাপা পত্রিকায় ও অনলাইন সংস্করণে মোহনবাগানের অধিনায়ক প্রীতম তাঁর সাক্ষাৎকারে পড়ে নিতে পারেন সে গল্প।